ক্যাটাগরি

ভারতে ব্যাপক কয়লা ঘাটতির আশঙ্কা, বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝুঁকি

ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের
এ সংক্রান্ত
অভ্যন্তরীণ এক উপস্থাপনা দেখে এসব কথা জানিয়েছে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতের ধারণা সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে
স্থানীয় পর্যায়ে
কয়লা সরবরাহ
চাহিদার ‍তুলনায়
৪ কোটি
২৫ লাখ
টন কম
হতে পারে;
এই সংখ্যা আগের ধারণার
চেয়ে ১৫
শতাংশ বেশি। বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা
ও কয়েকটি
খনি থেকে
কম কয়লা উৎপাদনের
কারণে এমনটি হবে বলে মনে করছে তারা।

ভারতে বার্ষিক বিদ্যুতের
চাহিদা অন্তত
৩৮ বছরের
মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম হারে বাড়তে দেখা
যাচ্ছে। এই সময়ে জ্বালানির
ঘাটতি নিয়ে মারাত্মক এ পূর্বাভাস এল। আর ইউক্রেইন যুদ্ধের জন্য সরবরাহ কমার কারণে
বিশ্বজুড়ে কয়লার দামও রেকর্ড ছোঁয়ার
পথে।

সম্প্রতি কয়লা আমদানি
বাড়াতে ভারত
বিভিন্ন পরিষেবা
সংস্থাগুলোর উপর চাপ বাড়িয়েছে। রাজ্য সরকারগুলোর
মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যদি আমদানির মাধ্যমে
কয়লার মজুদ
গড়ে না
তোলে তাহলে
স্থানীয়ভাবে উত্তোলিত কয়লা সরবরাহ কমিয়ে
দেওয়ারও হুমকি
দিয়েছে তারা।

এরপরও বেশিরভাগ রাজ্য
এখন পর্যন্ত
কয়লা আমদানির
চুক্তিতে যায়নি। আমদানি না হলে
ভারতের পরিষেবা
সংস্থাগুলোর কয়লা জুলাইয়ের মধ্যে ফুরিয়ে
যাবে বলে
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের
অভ্যন্তরীণ উপস্থাপনার এক স্লাইডে দেখানো
হয়েছে।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদ্যুতের
চাহিদা অনুযায়ী
ভারতের কয়লা
দরকার ১৯
কোটি ৭৩
লাখ টন,
কিন্তু অভ্যন্তরীণ
কয়লা সরবরাহ
১৫ কোটি
৪৭ লাখ
টনের বেশি
হবে না
বলে ওই
উপস্থাপনে দেখানো হয়েছে। এই তথ্য
অনুযায়ী ঘাটতি
থাকে ৪
কোটি ২৫
লাখ টন।

শুক্রবারের যে ভার্চুয়াল
বৈঠকে এই
প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়, সেখানে ভারতের
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও কয়লা মন্ত্রীদের
পাশাপাশি কেন্দ্রীয়
ও রাজ্য
সরকারগুলোর বিদ্যুৎ বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তারা
ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়
বিদ্যুৎ এবং
কয়লা মন্ত্রণালয়ের
মন্তব্য চাওয়া
হলেও তাৎক্ষণিকভাবে
তাদের কাছ
থেকে সাড়া
পাওয়া যায়নি।

এপ্রিল থেকে ভারতের
বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে
কয়লার মজুদ
প্রায় ১৩
শতাংশ হ্রাস
পেয়েছে। গত অন্তত
৯ বছরের
মধ্যে এই
সময়ে মজুদের
এই বেহাল
অবস্থা আর
দেখা যায়নি। কয়লার ব্যাপক চাহিদাও
বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর
মজুদ গড়ার
চেষ্টা ব্যাহত
করতে পারে। বিপুল কয়লা আমদানি
ঋণে জর্জরিত
বিদ্যুৎ বিতরণ
কোম্পানিগুলোর উপর চাপও বাড়াতে পারে।

তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াও
এপ্রিলে ভারতে
বিদ্যুতের ব্যবহার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল।