চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ ও ফেনীর ছাগলনাইয়া থানা এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে
তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ১৩ জন হলেন- সাইদুর রহমান (৩৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), এসএম শাফায়েত
হোসেন (৩৮), মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিঠু (৩৬), শহীদুল ইসলাম আকাশ (২৫), শোয়েব উদ্দিন
আবির (২৯), সাইদুল ইসলাম সুমন (৩০), নাহিদু উদ্দিন (৩৩), আবু সাঈদ (২৮), নাসির উদ্দিন
(৩৮), মঈন উদ্দিন (৩২), ইমাম হোসেন (৩৩), মো. ফাহাদ ওরফে ফরহাদ (২৬)।
এদের মধ্যে সাইদুর আহত র্যাব সদস্যের কাছ থেকে যে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন,
সেটি উদ্ধার করা হয়েছে শাফায়েতের কাছ থেকে। পাশাপাশি তাদের কাছে মাদক পাওয়া গেছে বলে
র্যাবের ভাষ্য।
গত বুধবার সন্ধ্যায় মিরসরাই উপজেলার বারৈয়াহাট পৌর বাজারে ‘ডাকাত সন্দেহে’
সাদা পোশাকের দুই র্যাব সদস্যকে পিটুনি দিয়ে তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর
করা হয়। পিটুনিতে গুরুতর আহত র্যাবের দুই সদস্যকে পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো
হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, জোরারগঞ্জ
থানার ধুমঘাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কিছু মাদক কারবারির অবস্থানের খবর
পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যায় মাদক
ব্যবসায়ীরা।
“ওই মাদক কারবারীরা র্যাব সদস্যদের গাড়িটি ব্যারিকেডে আটকে দেওয়ার চেষ্টা
করে। সেটি করতে না পেরে তারা বারৈয়াহাট বাজারে ফুটওভার ব্রিজের নিচে দুটি কভার্ড ভ্যান
দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং পরিকল্পিতভাবে
হামলা চালায়।”
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, “ঘটনার পর
আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন
স্থানে টানা অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
গ্রেপ্তার ফরহাদের কাছে থেকে দুই হাজার ইয়াবা, ৫২ বোতল ফেন্সিডিল এবং এক
কেজি গাঁজা উদ্ধার করার কথা জানানো হয়েছে র্যাবের তরফ থেকে।
এ ছাড়া হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করে তাদের ধরতে অভিযান
চালানো হচ্ছে বলেও র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক
আবছার জানান।