স্ট্রেঞ্জার থিংস-এর আগের সিজনের কিছু
দৃশ্য সংক্ষিপ্ত আকারে দেখিয়ে নতুন সিজন শুরুর আগে এক ‘ক্ষুদ্র বার্তায়’ ২০২১ সাল নাগাদ
জনপ্রিয় সিরিজটির সর্বশেষ সিজনের দৃশ্যায়ন শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছে নেটফ্লিক্স।
টেক্সাস হত্যাযজ্ঞে দুইজন শিক্ষক সহ
১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়। এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে
সিরিজটির নতুন সিজনের প্রথম পর্বের মিল দেখে ‘ঘাবড়ে যেতে’ পারেন দর্শকরা। সেই আশঙ্কা
মাথায় রেখেই স্ট্রিমিং সেবাটি সতর্কবার্তা আনার বিষয়টি উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট
ভার্জের প্রতিবেদনে।
‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর চতুর্থ সিজন মুক্তি
পাওয়ার আগেই নেটফ্লিক্স বেশ কিছু ‘স্পর্শকাতর দৃশ্য’ ইউটিউব টিজার হিসেবে আপলোড করেছিল।
তবে, ওই ভিডিওগুলো স্ট্রিম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে নামিয়ে ফেলেছে। নতুন সিজনের
‘প্লে’ বাটনে চাপ দেওয়ার পরপরই দর্শককে সতর্কতামূলক ক্ষুদ্র বার্তা দেখাচ্ছে নেটফ্লিক্স।
‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এ বেশিরভাগ ১৯৮৬
সালের প্রেক্ষাপট দেখালেও নতুন সিজনের প্রথম পর্ব ‘চ্যাপ্টার ওয়ান: দ্য হেলফায়ার ক্লাব’
কয়েক বছর আগের ঘটনাভিত্তিক, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘হকিংস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিস’ সক্রিয়
ছিল। সেখানে ‘ইলাভেন’ নামের এক শিশু চরিত্র এবং ‘অলৌকিক’ ক্ষমতা থাকা অন্যান্য শিশুর
উপর পরীক্ষা চালানো হতো।
‘দ্য হেলফায়ার ক্লাব’ পর্বে ইলাভেন এবং
তার বন্ধুদের জন্য হকিংস ল্যাবকে ‘জেল’ এবং ‘স্কুলের পরিবেশ’ দুটো হিসেবেই দেখানো হয়েছে।
ভয়ঙ্কর এক আক্রমণে ল্যাবের বেশিরভাগ শিশু ও কর্মী মারা যায়। এই আক্রমণে কীভাবে তাদের
সময় কেটেছে, সেটির বিস্তারিত দেখিয়েছে সিরিজটির ওই পর্ব।
স্ট্রেঞ্জার থিংস-এর সাম্প্রতিক সিজনটির
বাকি অংশে হকিন্স ল্যাব হত্যাকাণ্ডে ক্লাসরুমে অসহায় শিশুদের জীবন হারানোর বিষয়টি
উঠে আসায় টেক্সাস স্কুলের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে এর মিল পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে
ভার্জ।
অন্যদিকে, ‘ওবি-ওয়ান কেনোবি’ সিরিজের
বিষয়ে কোনো বিবৃতি বা সতর্কবার্তা জারি করেনি ‘ডিজনি’ ও ‘লুকাসফিল্ম’। এই সিরিজের উদ্বোধনী
দৃশ্যেও একটি ‘স্কুলের মতো পরিবেশে’ শিশুদের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য রয়েছে। একে ‘স্টারওয়ার্স’
ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগুলোর একটি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভার্জ।
ওবি-ওয়ান কেনোবি এবং স্ট্রেঞ্জার থিংস
৪-এ দেখানো ভয়ঙ্কর স্কুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে টেক্সাস হত্যাযজ্ঞের মিল থাকার বিষয়টি
পুরোপুরি কাকতালীয়।
ইউভালডি শহরের ভয়ঙ্কর হত্যাযজ্ঞের পর
সিরিজ দুটি দেখা দর্শকদের জন্য তেমন কঠিন হবে না কারণ ঘটনা দুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের
বর্তমান বাস্তবতার অনেকাংশে মিল থাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।