এখন থেকে এই তহবিল থেকে ৫ শতাংশ
সুদে ঋণ পাওয়া যাবে, এতদিন যে সুদ হার
ছিল ৭ শতাংশ।
সেই সঙ্গে, যেসব কোম্পানির বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ
এক লাখ ডলার, তারাও এই
তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এতদিন বছরে ন্যূনতম ১০ লাখ ডলার রপ্তানি
করে- এমন কোম্পানিই এ তহবিল থেকে ঋণ
পেত।
বাংলাদেশে কার্যরত জাপানি কোম্পানি, জাপান-বাংলাদেশ মালিকানাধীন এবং দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এই সুবিধা পাবে। মালিকানার ধরন যেমনই হোক, শর্ত হল,
জাপানে রপ্তানি থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের
প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ২০১৭ সালে ৭০৩ কোটি জাপানি ইয়েনের (৪৬১ কোটি টাকা) এই তহবিলের যাত্রা শুরু হয়।
জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকার
অর্থায়নে পরিচালিত টু-স্টেপ লোন (টিএসএল) তহবিল থেকে শুধুমাত্র শতভাগ জাপানি কোম্পানি, জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কোম্পানি এবং জাপানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি করে এমন
বাংলাদেশি কোম্পানি ঋণ পাওয়ার যোগ্য
বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারকে শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ সুদে এ তহবিল
দিয়েছে জাইকা। এখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক
ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে অর্থায়ন করবে। আগে এক্ষেত্রে সুদহার
ছিল ৩ শতাংশ।
আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো
সাড়ে তিন শতাংশ মার্জিন রেখে গ্রাহককে
সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। আগে ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলো ৪ শতাংশ মার্জিন রেখে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করতে পারত।
গ্রাহকের অনুকূলে অর্থায়নের
পরিমাণের ভিত্তিতে এ তহবিল থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনঃঅর্থায়ন ও অগ্রিম অর্থায়ান দুটিই পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জাইকার অর্থায়নে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন
প্রজেক্ট (এফডিআইপিপি) নামের এই তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ
হয়েছে। ঋণ পেয়েছে ১১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তকে
স্বাগত জানিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান
উন্নয়ন সহযোগী। জাপান সবচেয়ে কম সুদে বাংলাদেশকে ঋণ দেয়।
“কোভিড-১৯ মহামারীর এই কঠিন সময়ে
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত সঙ্কট মোকাবেলায়
অবদান রাখবে।”