ক্যাটাগরি

চট্টগ্রামে মাদ্রাসায় ভারতের হাই কমিশনার

রোববার বিকালে তিনি সস্ত্রীক চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায়
যান।

নগরীর মুরাদপুরের
বিবিরহাট এলাকায় অবস্থিত ৬৬ বছরের পুরনো মাদ্রাসাটির শিক্ষকদের সঙ্গে
কথা বলেন
দোরাইস্বামী।

তিনি জামেয়ার শিক্ষার্থীদের ভারতে গিয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার আশ্বাসও দেন
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন।

ভারতের হাই কমিশনার রোববার চট্টগ্রামে ব্যস্ত
দিন কাটান। চট্টগ্রাম চেম্বারের একটি আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর দুপুরে নগরীর পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন
তিনি।

এরপর বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে
মতবিনিময় সেরে চট্টগ্রামের সবচেয়ে পুরনো ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় যান
তিনি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা অছিয়র রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রদূত মাদ্রাসার আইসিটি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ, বিজ্ঞানাগার, বিশাল লাইব্রেরি ও ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং খুশি হয়েছেন।

“রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপকালে আমরা একটা প্রস্তাব রাখি। আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে যান। ভারত একটি বড় রাষ্ট্র এবং সেখানে বিশ্বমানের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে আমাদের ছাত্রদের পড়ালেখার সুযোগ ও বৃত্তি চালুর জন্য প্রস্তাব দিই।
উনি বিষয়টি দেখার জন্য ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন।”

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা
ভারতের হাই কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানান অধ্যক্ষ।

“রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। এদেশের মতো ভারতেও যেন সবাই মিলেমিশে থাকে, মুসলমানরা যাতে সম্মান নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারে।”

রাষ্ট্রদূতের মাদ্রাসা পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, চট্টগ্রামে সহকারী হাই কমিশনার কার্যালয়ের দ্বিতীয় সচিব শুভাশীষ সিনহা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের
চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, যুগ্ম- মহাসচিব মুহাম্মদ মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।