রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান। অপর সদস্যরা হচ্ছেন- বিআরটিএর উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম এবং উজিরপুর থানার ওসি আর্শাদ আলী।
কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আহতদের খরচ সরকার বহন করবে। আর যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, যমুনা লাইন পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া যাচ্ছিল। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
বামরাইল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি মহাসড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মারুফ জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। ২০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে সাত জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন মো. আরাফাত হোসেন (৯), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), মোসা. আনোয়ারা বেগম (২৩), মো. হালিম মিয়া (৩১), মো. সেন্টু মোল্লা (৫০). মো. রমজান হওলাদার (৩৫) এবং মাধব শীল (৪৫)। তাদের মধ্যে মাধব হাসপাতালে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: