রোববার মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত
অবস্থায় পিস্তলটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান জোরারগঞ্জ থানার ওসি নূর হোসেন মামুন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার
বারৈয়ারহাট পৌর সদর ও বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে সভা করেছিলাম।
সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রটি কোথাও রেখে যাওয়া না হলে কিংবা বুঝিয়ে না দিলে কঠিন
অ্যাকশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম আমি।
“এরপর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে
জানান, তিনি সাউথ আফ্রিকা থেকে বলছেন। তাকে একজন জানিয়েছে, র্যাবের খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি
জামালপুর এলাকার হাসা বাবুল নামে একটি ব্যক্তির বাড়ির গেইটের পূর্ব পাশের পিলারের সঙ্গে
রাখা আছে।”
টেলিফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্রটি পাওয়া যায় বলে জানান ওসি মামুন।
ওসি বলেন, “ওই অস্ত্রের পাশে একটি
চিরকুট পাওয়া গেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় এক ব্যক্তি র্যাব সদস্যের হাতে
আঘাত করলে অস্ত্রটি পড়ে যায় এবং তিনি সেটা নিয়ে চলে গেলেও ভয়ে পুলিশের কাছে জমা দেননি।
এজন্য নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।”
চট্টগ্রামে ‘ডাকাত আখ্যা দিয়ে’ র্যাবকে পেটানোর ঘটনায় ১৩ জন গ্রেপ্তার
মীরসরাইয়ে স্থানীয়দের হামলায় র্যাবের ২ সদস্য আহত
আইনি প্রক্রিয়া শেষে অস্ত্রটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান
তিনি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌর বাজারে ‘ডাকাত
সন্দেহে’ সাদা পোশাকের দুই র্যাব সদস্যকে
পিটুনি দিয়ে তাদের বহনকারী একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়। পিটুনিতে আহত র্যাবের
দুই সদস্যকে পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
শুক্রবার র্যাব-৭ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, ওই হামলার ঘটনায় বারৈয়ারহাট
ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং ছিনিয়ে নেওয়া একটি অস্ত্র উদ্ধারের
কথা জানানো হয়।
‘মাদক কারবারীরা’ এ ঘটনা
ঘটিয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে র্যাব জানায়, জোরারগঞ্জ
থানার ধুমঘাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কিছু মাদক কারবারির অবস্থানের খবর
পেয়ে অভিযানে নামে বাহিনী। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যায় মাদক
ব্যবসায়ীরা।
“ওই মাদক কারবারীরা র্যাব সদস্যদের গাড়িটি ব্যারিকেডে
আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেটি করতে না পেরে তারা বারৈয়ারহাট বাজারে ফুটওভার ব্রিজের
নিচে দুটি কভার্ড ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ‘ডাকাত
ডাকাত’ চিৎকার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং পরিকল্পিতভাবে
হামলা চালায়। দুষ্কৃতিকারীদের ওই আক্রমণে দুই জন র্যাব সদস্য আহত হয়।”