রোববার সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে
প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “১৯৯১ সালের পর মাঝখানে কিছু সময়
নির্বাচন ব্যবস্থা অগোছালো ছিল। এখন সবকিছু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন ল্যাংড়া নয়।
“আমরা সবকিছু সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়ে করব। কে কোন দলের, কে কোন
প্রতীকের তা দেখার সুযোগ নেই। সুষ্ঠু ভোট করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে।
প্রয়োজনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
আনিছুর বলেন, “ইভিএম মেশিনে কোনো ত্রুটি নেই বলে
পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বিজ্ঞজনরা মতামত দিয়েছেন। এই মেশিনের সবকিছু যেকোনো সময় দেখা
যাবে। ইভিএম দিয়ে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
“ভোট শুরুর পর শূন্য থেকে গণনা হচ্ছে কিনা তা প্রার্থীসহ
এজেন্টদের দেখানো যাবে।”
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূরের
সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাচন
কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা
সৈয়দ কামাল হোসেন, বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায়।
আগামী ১৫ জুন বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে। এদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ছয়টি পৌরসভা, একটি উপজেলা ও ১৩৫
ইউপিতে ভোট রয়েছে।
এ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা ও আচরণবিধি প্রতিপালনে
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী এলাকায়
সফর করছেন।
আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় ‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত খেলা’ দেখতে চান সিইসি
প্রচার শুরু: মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন সিইসি ও কমিশনাররা