সরকার সমর্থক সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, “যারা
আমাদের নেত্রীকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, ক্যাম্পাসে আসতে হলে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।
“ক্ষমা না চাইলে তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীরা তাদের
প্রতিহত করবে। ছাত্রলীগও শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের প্রতিহত করবে।”
সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর ‘ছাত্রদলের
হামলার’ প্রতিবাদে রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মিছিল নিয়ে
ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাওয়ার নিয়ে সংগঠন দুটি সংঘর্ষে জড়ায়। তাতে অনেকে আহত হয়। পাল্টাপাল্টি
মামলাও হয়েছে ওই ঘটনা নিয়ে।
তার আগে গত ২২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার এক বক্তব্য ‘হত্যার হুমকিস্বরূপ’ এবং
‘কুরুচিপূর্ণ’ দাবি
করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মিছিল-সমাবেশ করেছিল ছাত্রদল।
সেখানে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দেওয়া স্লোগানের দিকে ইঙ্গিত করে ছাত্রলীগ
সভাপতি জয় বলেন, “শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করলে
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না। কারণ তিনি শুধু দলীয় পরিচয়ে সীমাবদ্ধ নয়। সকল স্তরের
মানুষের কাছে জনপ্রিয়।”
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিভিন্ন ধরনের
ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন জয়।
তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র সফল হবে
না। ছাত্রলীগ রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেবে। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদল বা অন্য কেউ অরাজকতা
সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছে।”
মানববন্ধনে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “ছাত্রদল
সভাপতি কিছুদিন আগে ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য ও উষ্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের ইমোশনে আঘাত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সাধিত উন্নয়ন ও বর্তমান
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণেই প্রথম বর্ষ থেকে সকল শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে অবস্থান করেন।
শিক্ষার্থীদের মনে কষ্ট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা মাধ্যমে তারা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
সৃষ্টি করতে চায়।”
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “দুর্নীতিবাজ
ও জঙ্গিবাদীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার মিছিল এই ক্যাম্পাসে হবে না, এখানে দেশরত্ন শেখ
হাসিনার আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশের মিছিল হবে। তারেক রহমানকে লাশ উপহার দেওয়ার জন্য
এই ক্যাম্পাস নয়।”
মানববন্ধনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন
হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী অংশ নেন।