প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে লা লিগার
ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি। একটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের
দুই গোলে অবদান রাখেন বেনজেমা।
বেনজেমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর
ব্যবধান বাড়ান লুকা মদ্রিচ। কিকে গার্সিয়া ব্যবধান কমানোর পর জমে ওঠে লড়াই। শেষ দিকে
জয় নিশ্চিত করেন লুকাস ভাসকেস।
ম্যাচের অধিকাংশ সময় রিয়াল বল দখলে রাখলেও
আক্রমণে দু’দল
ছিল সমানে-সমান। ‘অফ
দা বল’-এ এইবারের আগ্রাসী
রূপ প্রশংসনীয়। অন্যদিকে,
রিয়ালের আক্রমণভাগ ভীতি ছড়ালেও তাদের রক্ষণ ছিল না সেরা রূপে। রাফায়েল ভারানে ছিলেন
নিজের ছায়া হয়ে।
ঘরের মাঠে আসরে এখন পর্যন্ত জয়শূন্য
এইবারের বিপক্ষে শুরুটা দুর্দান্ত করে রিয়াল। ১৩ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে তারা।
ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে এগিয়ে
নেন বেনজেমা। বাঁ দিক থেকে রদ্রিগোর বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে ডান পায়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে
বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন শনিবার ৩৩ বছর পূর্ণ করা এই ফরোয়ার্ড।
আসরে ফরাসি স্ট্রাইকারের এটি সপ্তম গোল।
সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ চার ম্যাচে তার গোল হলো পাঁচটি।
ত্রয়োদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা
গোলেও জড়িয়ে তার নাম। প্রতিপক্ষের পা থেকে ভাসকেস বল কেড়ে নেওয়ার পর বাইলাইনের কাছ
থেকে কাটব্যাক করেন বেনজেমা। আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দারুণ ছন্দে
থাকা মদ্রিচ। বল গোলরক্ষকের হাতে লেগে জালে জড়ায়।
১৬ ও ২৬তম মিনিটে নিশ্চিত দুটি সুযোগ
নষ্ট হয় চ্যাম্পিয়নদের এবং এখানেও বেনজেমা; প্রতি-আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েও
শট না নিয়ে বাঁ দিকে মদ্রিচকে পাস দেন তিনি, শট নিতে দেরি করে ফেলেন মদ্রিচ। আর দ্বিতীয়টিতে
ক্রোয়াট এই মিডফিল্ডারের ক্রস গোলমুখে ফাঁকায় অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন
বেনজেমা।
অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই গোল খেলেও খেই
হারায়নি প্রথম ১৩ রাউন্ডে মাত্র তিনটিতে জেতা এইবার। বরং পাল্টা আক্রমণে চাপ বাড়াতে
থাকে দলটি। ২৮তম মিনিটে সাফল্যও পেয়ে যায় তারা।
ভাসকেসের ভুলের পর সতীর্থের পা ঘুরে
বল ধরে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক শটে দূরের পোস্টের ওপরের কোণা দিয়ে ব্যবধান
কমান গার্সিয়া।
৩৫তম মিনিটে বেনজেমা জালে বল পাঠালেও
অফসাইডের পতাকা ওঠে। পরের মিনিটে বাঁ দিক থেকে ফেরলঁদ মঁদির গোলমুখে বাড়ানো বলে পা
লাগাতে ব্যর্থ হন ভাসকেস।
দ্বিতীয়ার্ধের একাদশ মিনিটে সের্হিও
রামোসের ভুলে বিপদে পড়তে পারতো রিয়াল। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি এইবার। ৭১তম মিনিটে
ইয়োশিনোরি মুতোর হেড ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে আবারও বেঁচে যায় রিয়াল। এর মাঝে গোলরক্ষককে
একা পেয়ে তার বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন রদ্রিগো।
৮১তম মিনিটে ডি-বক্সে রামোসের হাতে বল
লাগলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে এইবার। শরীর থেকে তার হাতও দূরে ছিল; তবে ভিএআরে
সাড়া মেলেনি।
শেষ ১০ মিনিটে চাপ বাড়ানো এইবার যোগ
করা সময়ে গোল পেতে পারতো। তবে ডি-বক্সে বিগাসের শট স্লাইড করে বিদমুক্ত করেন রামোস।
ওখান থেকে ওঠা প্রতি-আক্রমণে সব অনিশ্চয়তার
ইতি টেনে দেন ভাসকেস। বেনজেমার পাস পেয়ে ডান দিক থেকে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন স্প্যানিশ
ফরোয়ার্ড।
সব প্রতিযোগিতা মিলে রিয়ালের এটি টানা
পঞ্চম জয়।
আর লিগে এটি তাদের নবম জয়। সঙ্গে দুই
ড্রয়ে ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে রিয়াল। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে
১২ ম্যাচ খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ।
তিন নম্বরে নেমে যাওয়া রিয়াল সোসিয়েদাদের
পয়েন্ট ২৬, ১৫
ম্যাচে। এক ম্যাচ কম খেলা ভিয়ারিয়াল ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে।
১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে
বার্সেলোনা।