নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা বিক্ষোভে উত্তাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় এ মাসে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে-সহ তার মন্ত্রিসভা।
কোভিড-১৯ মহামারীতে পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির মুখ থুবড়ে পড়া, তেলের ক্রমবর্ধমান মূল্য, সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য কর ছাঁটাই আর সরকারের রাসায়নিক সার আমদানি নিষিদ্ধের মতো অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের বলি হয়েছে শ্রীলংকা।
নতুন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে এসে সংকট সৃষ্টি করা এই সবকিছুকেই ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রোববার জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেছেন, “নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, আমরা প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্টের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আর মন্ত্রিদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভাও পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ।”
এ প্রস্তাবে এখন মন্ত্রিসভা এবং সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। আর এই অনুমোদন পেতে কয়েকসপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তারপরই এ বিষয়ে পার্লামেন্টের অনুমোদন চাওয়া হবে।
তবে সমালোচকরা বিক্রমসিংহের এই রাজনৈতিক সংস্কার প্রস্তাবকে যথেষ্ট মনে করছেন না।
তারা বলছেন, এই প্রস্তাব প্রত্যাশামাফিক হয়নি। এতে বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলো উঠে আসেনি; যেসব দাবির মধ্যে আছে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বিলোপ করার মতো বিষয়।