টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি বলেন, সেভরোদোনেৎস্কে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ নেই। গোলা হামলায় নগরীর প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। সেনারা নগরীর উপকণ্ঠে ঢুকে পড়ার পর অগ্রসর হচ্ছে। রুশ সেনাদের গোলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
হাইদাই জানান, যারা হামলা করছে তারা মারা পড়ছে। তারপর আবার গোলাবর্ষণ শুরু হচ্ছে। তারপর আবার আরেকটা হামলা হচ্ছে। তারা কোথাও না কোথাও আমাদের অবস্থান ভেঙে ঢুকে না পড়া পর্যন্ত এরকম হামলা চলতে থাকবে।
“শত্রুরা সম্ভাব্য সব অস্ত্র মোতায়েন করেছে। তবে ইউক্রেইনের সেনারাও তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে যাতে শত্রুরা দেশের আরও ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে,” বলেন তিনি।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরকে ‘বীর’ আখ্যা দিয়েছেন হাইদাই। তিনি বলেছেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে এই যোদ্ধারা সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে আছে। রুশ সেনাদের হাতে যত অস্ত্র আছে তার সবই আমাদের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে।”
“তারপরও এই বীর ছেলেরা (প্রতিরোধ যোদ্ধা) লুহানস্কের এ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, যতক্ষণ না আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুদের হটিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় অস্ত্র পায়।”
রুশ সেনারা নগরীর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেইনীয় বাহিনী তাদেরকে দক্ষিণের তোসকিভকা গ্রাম থেকে হটিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর হাইদাই।
টিভিতে এক ভাষণে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “দখলদ্বার বাহিনীর জন্য সেভরোদোনেৎস্ক দখল করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ…আমরা তাদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে যাকিছু করা সম্ভব করছি।”