সোমবার বাঘারপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বেনজির আহম্মদের বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নকিম উদ্দীন (৬০) বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধূপখালি গ্রামের প্রয়াত দলিল উদ্দীনের ছেলে।
অপর দুই দিনমজুরের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
ওই বাড়ির গৃহকর্তা বেনজির আহম্মদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা হাট থেকে ধান কাটার জন্য নকিম উদ্দীনসহ তিনজন দিনমজুর নিয়ে আসেন তিনি। অপর দুই জনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়।
“এরইমধ্যে কাজ করা নিয়ে ওই তিনজন বিবাদে জড়ায়।”
বেনজির বলেন, চুয়াডাঙ্গার দুই জনের মধ্যে একজন রোববার বিকালে বাড়ি চলে যান। রাতের খাওয়া শেষে নকিম উদ্দীন ও অপরজন একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার ভোরে কাজের জন্য তাদের ডাকতে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা।
এ সময় তিনি ভিতরে প্রবেশ করে শুধু নকিম উদ্দীনকে দেখতে পান জানিয়ে বলেন, “ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেখি গলায় রশি প্যাঁচানো ও রক্তমাখা নকিম নিথর হয়ে পড়ে আছে।”
পরে খবর দেওয়ার পর বাঘারপাড়া থানা পুলিশ এসে সকাল ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জনিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার এ লোকটিই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত নকিম উদ্দীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর তার যৌনাঙ্গ কাটা হয়েছে, দুটি চোখ উপড়ে ফেলেছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।