যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ‘দ্য রেজিস্টার’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
‘লোটাস-১-২-৩’-কে লিনাক্স প্ল্যাটফর্মে এনেছেন গুগলের ‘প্রোজেক্ট জিরো’র বাগ শিকারী
টাভিস অরম্যান্ডি।
অরম্যান্ডির এ সাফল্যকে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর বিবেচনায় একটি বড় অর্জন হিসেবে
আখ্যা দিয়েছে রেজিস্টার।
প্রযুক্তিবিষয়ক আরেক সাইট টেকরেডার জানিয়েছে,
লিনাক্সে আসা ‘লোটাস-১-২-৩’ কোনো ‘ইমুলেটেড প্রোগ্রাম’ নয়; বরং, স্প্রেডশিট
সফটওয়্যারটির মূল সংস্করণটিই অত্যাধুনিক এক্স৮৬ প্রসেসরভিত্তিক লিনাক্স-এ চলছে।
“এখানে কিছু জট বেঁধে আছে যেগুলো ছোটাতে হবে
এবং আমার টার্মিনাল ড্রাইভারকেও নিয়ে আসতে হবে, তবে এটি শতভাগ ব্যবহারযোগ্য,”– নিজের
কাজ নিয়ে ব্লগে লিখেছেন অরম্যান্ডি।
‘আইবিএম পিসি’র জন্য ‘লোটাস ১-২-৩’ এক যুগান্তকারী
অ্যাপ্লিকেশন ছিল বলে মন্তব্য করেছে টেকরেডার। আশির দশকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল
সফটওয়্যারটি।
সফটওয়্যারটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ফিচার
স্প্রেডশিটে হিসাব নিকাশ, ডেটাবেইজের কার্যক্ষমতা এবং গ্রাফিকাল চার্ট। ‘ডিবেইজ’ এবং
‘ওয়ার্ডপার্ফেক্ট’-এর পাশাপাশি একে একটি অপরিহার্য অ্যাপ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
নব্বই দশকের শুরুতে মাইক্রোসফট ‘এক্সেল’-এর
মতো গ্রাফিক ইন্টারফেইজ ভিত্তিক নিজস্ব পণ্যের বাজারজাত করা শুরু করলে তার বিপরীতে
টিকতে পারেনি ‘লোটাস ১-২-৩’।
মাইক্রোসফটের একের পর এক যুগান্তকারী নতুন পণ্যের
বিপরীতে বেশ ধীরগতিতে সাড়া দিচ্ছিল লোটাস। এমনকি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি আইবিএম কিনে
নেওয়ার পরও এ অবস্থা পাল্টায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
২০১৩ সাল পর্যন্ত লোটাসের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি
করছিল আইবিএম। সে বছরের জুন মাসে বাজার থেকে লোটাস ব্র্যান্ডটি উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা
দেয় আইবিএম।