মঙ্গলবার দুপুরে
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার থেকে তাদের হস্তান্তরের জন্য লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে
নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে নির্দেশনা
না থাকায় পাঁচজনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামের জেল
সুপার মো. ইসমাইল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদেরকে পুনরায় কারাগারেই
স্থানান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা
এখানেই থাকবেন।”
এই পাঁচজন হলেন-
পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার আলম মিয়া, আসামের ধুবরি জেলার মো. নুরুজ্জামান, দক্ষিণ
মাইনকারচর জেলার সেলিম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও মাহা আলম শেখ। তারা অনুপ্রবেশ ও মাদক
মামলায় দীর্ঘদিন সাজা খেটেছেন।
তাদের নিজ দেশে
ফিরতে সহায়তা করছে ‘বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন।
এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের
আহ্বায়ক আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এদের সবার সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কেউ
কেউ এক বছর থেকে ছয় মাস ধরে বিনাবিচারে কারাগারে আটকে আছেন। এই পাঁচজন ছাড়া আরও দুজন
এভাবে আটকে আছেন।
“পাঁচজনকে দুপুরে
হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতায় বিএসএফ তাদের গ্রহণ
না করে ফিরিয়ে দিয়েছে।“
আইনজীবী আরও বলেন,
“উভয় দেশের নাগরিক রয়েছে দুই দেশের জেলখানায়। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা দেশে ফিরতে
পারছেন না। এটা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। সাজা শেষের সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকরা যেন নিজের
দেশে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থা বা উদ্যোগ দুই রাষ্ট্র থেকে নেওয়া জরুরি হয়ে গেছে।”