সহজ করে বললে ১-এর পর ১৮টি শূন্য বসালে
সেটি ১ কুইন্টিলিয়নের সমান হয়। এএমডির হার্ডওয়্যার নির্ভর ফ্রন্টিয়ার সুপারকম্পিউটারের
নির্মাণ করেছে এইচপি এন্টারপ্রাইজ।
এর আগে সুপারকম্পিউটারের সর্বোচ্চ গতির
রেকর্ডটি ছিল জাপানের তৈরি সুপারকম্পিউটার ফুগাকুর দখলে। ফুগাকুর সর্বোচ্চ গতি ছিল
৪৪২ পেটাফ্লপ। আর ফ্রন্টিয়ারের সর্বোচ্চ গতি ১.১ এক্সাফ্লপ। এক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার ফুগাকুকে
বেশ বড় ব্যবধানেই পেছনে ফেলার কথা উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
২০২০ সালে ফুগাকু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী
সুপারকম্পিউটারের সিংহাসন দখল করার আগে পরপর দুবছর সিংহাসনটি আইবিএমের তৈরি ‘সামিট’
সুপারকম্পিউটারের দখলে ছিল।
“ফ্রন্টিয়ার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড়
বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য নতুন প্রজন্মের এক্সাস্কেল কম্পিউটার,” এক বিবৃতিতে
বলেছেন ওআরএনএল পরিচালক টমাস জাকারিয়া।
“বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের টুল হিসেবে ফ্রন্টিয়ারের
সক্ষমতার মাইলফলক এটি,” যোগ করেন তিনি।
সুপারকম্পিউটারগুলো আকারে এতোটাই বড়
যে এর জন্য একটি দালানের কয়েক তলা জুড়ে হতে পারে এর অবস্থান। এই সুপারকম্পিউটারগুলো
চালাতে ছোটখাটো একটি শহরের চাহিদার সমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে শুরু
করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহাবিশ্বের নানা জটিলতার উত্তরের খোঁজে ব্যবহৃত হয় এ দানবীয়
কম্পিউটারগুলো।
এমনকি ওষুধ ও টিকা নিয়ে গবেষণাতেও ভূমিকা
রাখতে পারে একটি সুপারকম্পিউটার।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে,
যুক্তরাষ্ট্র সিংহাসনে ফিরলেও শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুপারকস্পিউটার এখনও
চীনের। ১৭৩টি সুপারকম্পিউটার আছে চীনের হাতে। তার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায়
থাকা সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা ১৫০টি থেকে কমে ১২৬-এ নেমে এসেছে।
অন্যদিকে গ্রিন৫০০ তালিকাতেও শীর্ষস্থান
দখল করে নিয়েছে ফ্রন্টিয়ার। একটি সুপারকম্পিউটার বিদ্যুৎ খরচের বেলায় কতোটা সাশ্রয়ী
তার ওপর নির্ভর করে এই তালিকা।
গ্রিন৫০০ তালিকা বছরে একাধিকবার প্রকাশ
করে গ্রিন৫০০ ডটঅর্গ। বিশ্বের সবেচেয়ে শক্তিশালী পাঁচশ সুপারকম্পিউটারের তালিকা প্রকাশের
পরপরই সাধারণত গ্রিন৫০০ তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।