সোমবার সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণা করার পর নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত সময়ে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে যারা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এবং সরকারি দলের এমপির ডিও লেটারে মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন এমন ব্যক্তিকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
“আমরা জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। দলে আমাদের ত্যাগ রয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে কথিত বিএনপি নেতা ইউসুফ মোল্লা টিপুকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। আমি যাদের নিয়ে রাজনীতি করব, তারা যদি দলে ভাল পদ না পান, তাহলে কাদের নিয়ে রাজনীতি করব? এ অবস্থায় আমি মহানগরের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।”
বিষয়টি নিয়ে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, “যারা বলে কারও ডিও লেটারে আমিসহ আমাদের নেতাকর্মীদের জামিন হয়েছে তারা ভুল বলেছে। এগুলো তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, আইনিভাবে আমাদের মামলার জামিন হয়েছে।“
সোমবার সন্ধ্যায় আমিন উর রশীদ ইয়াছিনকে আ্হ্বায়ক ও জসিমকে সদস্যসচিব করে ৪১ সদস্যের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি, আমিরুজ্জামান আমিরকে আহ্বায়ক ও ইউসুফ মোল্লা টিপুকে সদস্যসচিব করে ৪৪ সদস্যের কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হলেও এটাই বিএনপির প্রথম মহানগর কমিটি। আমিরুজ্জামান আমির বিএনপি নেতা আমিন উর রশীদ ইয়াছিনের অনুসারী। আর ইউসুফ মোল্লা টিপু বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও কুসিকের সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর অনুসারী বলে পরিচিত।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলন, রেজাউল কাইয়ুম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুটি, মো. বিল্লাল হোসেন ও উৎবাতুল বারী উপস্থিত ছিলেন।