ক্যাটাগরি

ধর্ষণচেষ্টার পর ছিনতাইকাজেও সেই একই বাস

একটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ একই বাসটি শনাক্ত করে বলে জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

বাসটি আটক করা হয় গত সপ্তাহে এর চালক বাসে এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণচেষ্টার আলামত হিসেবে, যে ঘটনাটি ঘটেছিল তার এক সপ্তাহ আগে ১৯ মে।

আর তার দুদিন পর ওই বাসে উঠে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার অভিযোগ এক ব্যক্তি ২৭ মে থানায় এসে করেন বলে জানিয়েছেন ওসি মোস্তাফিজ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ২১ মে (২২ মে) রাত সোয়া ১২টার দিকে ভাটিয়ারি যাওয়ার জন্য অলঙ্কার মোড় থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তবে বাসটি গন্তেব্যে না গিয়ে ভিন্ন রুটে চলে যায় এবং বাসে থাকা যাত্রীবেশী দুজন ও চালক-সহকারীসহ চারজন মিলে মারধর করে তার সাথে থাকা নগদ এক হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং হাত-পা বেঁধে খুলশী থানার সেগুন বাগান এলাকায় ফেলে দেয়।”

সেই মামলার তদন্তকারীরা এই বাসটি চিহ্নিত করার পর দেখা যায়, একই বাসেই গত ১৯ মে রাতে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল।

ছিনতাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সবুজ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাস্থল এবং আশেপাশে ফুটেজ দেখে বাসটি শনাক্ত করা হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বাসটি জব্দ করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।”

পাহাড়তলীর ওসি জানান, ছিনতাই মামলায় গত ২৮ মে গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম (২৮), মো. মিন্টু (২৫) ও নঈম উদ্দিনের (২১) মধ্যে নঈম আদালতে জবানবন্দি দেন। অন্য দুজনকে রিমান্ডে পাওয়া তথ্যে হাবিবুর রহমান নামে আরেকজনকে সোমবার রাতে চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রিমান্ডে থাকা ‍দুজন এবং ভুক্তভোগী যাত্রীও বাসটি শনাক্ত করেছেন জানিয়ে এসআই সবুজ বলেন, বাসটি পালা ভাগ করে দুজন চালক চালান। তাদের মধ্যে এক জন ছিনতাইয়ের মামলার গ্রেপ্তার আশরাফুল এবং অন্যজন বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার টিপু।

“যাত্রী পরিবহনের ফাঁকে বাসটি ছিনতাইয়ের কাজেও ব্যবহার করা হত,” বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

জ্ঞান ফেরার পর পোশাককর্মী জানালেন বাসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়ার খবর

এই বাসটি কালুরঘাট বিসিক এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মীদের আনা-নেওয়ার কাজ করত।

এরমধ্যেই গত ১৯ মে রাতে ওই বাস থেকে পড়ে যাওয়া এক তরুণীকে বাকলিয়ার রাহাত্তারপুল এলাকায় সড়ক থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পাঁচ দিন পর ওই তরুণীর জ্ঞান ফিরলে তিনি পুলিশকে জানান, তিনি সেদিন ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে বাস থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাসটি আটক করে এবং চালক আনোয়ার হোসেন টিপু ও তার সহকারী জনি দাশকে গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ভেরিফাইড ফেইসবুক পাতায় জানানো হয়, ওই বাসটির পেছনে কোনো নম্বর প্লেট নেই। সামনের নম্বর প্লেটটি বাসের বাম্পারের আড়ালে ঢোকানো, যাতে সহজেই নম্বরটি দেখা না যায়।