ইউক্রেইনের একজন সেনা কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন বলে জানায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি।
মঙ্গলবার সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে সেভেরোদেনেৎস্কের সেনাবাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান অলেক্সান্ডার স্ট্রিউক বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুদ্ধ নগরীটিকে দুইভাগে ভাগ করে ফেলেছে।
‘‘যদিও নগরীটি এখনও নিজেকে বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, নগরীটি এখনও ইউক্রেইনের এবং আমাদের সেনারা এটিকে রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
ওদিকে, অনলাইনে আলাদাভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে লুহানস্ক অঞ্চরের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেন, সেভেরোদোনেৎস্কের অবস্থা ‘খুবই জটিল’। তিনি জানান, ইউক্রেইনের সেনারা এখনো নগরীটির কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
দনবাস অঞ্চলের অবস্থিত লুহানস্কের দখল পেতে হলে রাশিয়াকে যে পথ দিয়ে যেতে হবে সেভেরোদোনেৎস্ক নগরীর অবস্থান সেই পথে। সেই পথের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যনগরীগুলোর অন্যতম সেভেরোদোনেৎস্ক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধের শুরুতেই তাদের লক্ষ্য ছিল লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলের সমন্বয়ে গঠিত দনবাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। অবশ্য দনবাস অঞ্চলের একটি বড় অংশ আগে থেকেই রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে আছে।
সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক নগরীর দখল পেলে রাশিয়া কার্যত পুরো লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।