এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি
জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
বিবাদীদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে
মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. বোরহান খান।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন কালিহাতী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মো.
মোখলেসুর রহমান।
বিবাদীরা হলেন- আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব,
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব,
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও এসপি, কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি এবং সংসদ সদস্য সোহেল হাজারী।
২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সোহেল হাজারী প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে দ্বিতীয়বারের মতো
তিনি নির্বাচিত হন।
রুলের বিষয়ে আইনজীবী মো. বোরহান খান বলেন, “নির্বাচন
কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় গড়মিল আছে উল্লেখ করে গত বছরের ২৫
জুলাই স্পিকার বরাবরে মোখলেসুর রহমান একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বিতর্কের বিষয়টি
নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি
নিষ্পত্তি না করায় তিনি হাই কোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনে ওই আবেদন নিষ্পত্তির
নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
“কিন্তু পরে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ওই রিট খারিজ করেন হাই কোর্টের আরেকটি
বেঞ্চ। এবার তিনি কোন কর্তৃত্ব বলে সংসদ সদস্য আছেন চ্যালেঞ্জ করে এবং তার সংসদ
সদস্য পদ বাতিল চেয়ে আরও একটি রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই রুল জারি করে
আদালত।”