ক্যাটাগরি

ইংল্যান্ডের প্রবীণতম টেস্ট ক্রিকেটার পার্কস আর নেই

মঙ্গলবার সকালে একটি হাসপাতালে পার্কস শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানায় সাসেক্স। ইংল্যান্ডের জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সী ছিলেন পার্কস।

১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৬ টেস্ট খেলেছিলেন পার্কস। এরপর আরও আট বছর কাউন্টিতে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান তিনি। পরে সাসেক্সের মার্কেটিং ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। দুই দফায় ছিলেন ক্লাবটির প্রধানও।

ক্রিকেট পরিবারে জন্ম পার্কসের। তার বাবা ও আঙ্কেল ছিলেন ক্রিকেটার। দুইজনে মিলে সাসেক্সের হয়ে খেলেছিলেন ৪০০ এর বেশি ম্যাচ। পার্কসের ছেলে ববি উইকেটরক্ষক হিসেবে হ্যাম্পশায়ার ও কেন্টের হয়ে খেলেছেন।

ক্যারিয়ারের শুরুতে পার্কস মূলত ছিলেন একজন ব্যাটসম্যান, যিনি লেগ স্পিনও করতে পারেন। পরে অবশ্য কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক হাজারের বেশি ডিসমিসালে আছে তার অবদান।

১৯৪৯ সালে ১৮ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণি দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে অভিষেক হয় পার্কসের। সাক্সেস ও সমারসেটের হয়ে খেলেছেন ৭৩৯ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১৩২ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৫৪ সালে ম্যানচেস্টারে টেস্ট অভিষেক হয় পার্কসের। এরপর অবশ্য লম্বা সময় ছিলেন দলের বাইরে। ১৯৬০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিরেই উপহার দেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তাতে দলে তার জায়গাও পাকা হয়ে যায় অনেকটা।

পরে আরও আট বছর ইংলিশদের প্রতিনিধিত্ব করেন পার্কস। ক্যারিয়ারে ৪৬ টেস্টে দুই সেঞ্চুরি ও ৯ ফিফটিতে এক হাজার ৯৬২ রান করেন তিনি। ১০৩টি ক্যাচের সঙ্গে স্টাম্পিং করেন ১১টি।

একই দিয়ে দুইজন সাবেক ক্রিকেটারকে হারাল ক্রিকেট বিশ্ব। মঙ্গলবারই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অলরাউন্ডার ও কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্সের কাজিন ডেভিড হলফোর্ড। ৮২ বছর বয়সে মারা যান তিনি।