জেলার এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার হাতের লেখা মিলিয়ে জালিয়াতি ধরা পড়ার পর তাদের ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং পাঁচ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে পালিয়ে গেছেন আরও ২১ জন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. ইব্রাহীম, নাইমুল ইসলাম, মুরশেদুল আলম, মো. জুনায়েদ, বিপ্লব সুশীল, মিনদীপা চৌধুরী, মোজাম্মেল হোসেন, আলী আজগর, তন্ময় দে, নন্দন দাশ, মান্না দাশ, প্রীতম চৌধুরী, শেখর দাশ, রহিম উদ্দিন ও আসাদুজ্জামান।
এনডিসি তৌহিদুল জানান, গত ১১ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা, ১৫টি উপজেলা ও মহানগরের ছয়টি সার্কেলের ভূমি অফিসে ‘অফিস সহায়ক’ পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। যেখানে আট হাজার ৯১০ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ২৩৭ জন।
ছবি পাল্টে অন্যের হয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, আটক ২
“আজ তাদের মৌখিক পরীক্ষার দিন ছিল। প্রক্সি সিন্ডিকেট ধরতে ও প্রকৃত মেধা যাচাইয়ের জন্য মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসাদের হাতের লেখা নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ সময় ২১ জন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যায়।”
এনডিসি তৌহিদ বলেন, খাতা যাচাই করে পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখার সাথে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীর লেখার কোনো মিল না পাওয়ায় ১৫ জনকে আটক করা হয়।
“পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে লিখিত পরীক্ষার তাদের হয়ে অন্যরা অংশ নিয়েছিল। এ জন্য তারা ফটোশপের মাধ্যমে অংশ নেয়া ব্যক্তির ছবি যুক্ত করেছিল অ্যাডমিট কার্ডে।”
গত ১১ মার্চ এ পরীক্ষার সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছিল অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসার অভিযোগে।
জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার পীযূষ চৌধুরী ঘটনার দিন জানিয়েছিলেন, অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী হায়দার রশিদ নামে এক জনের হয়ে লিখিত পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জালাল। পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজিরা তালিকার ছবির সাথে তার চেহেরার গড়মিল ধরা পড়ে।
এরপর হাজিরা তালিকার তথ্য ও প্রবেশপত্রের ছবিসহ অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে দেখা জালালকে আটক করা হয়। পরে জালালের দেওয়া তথ্যে রিমন নামে আরও একজনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছিলেন পীযূষ।