বিনোদন বিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটি জানায়, তিন বছর অপেক্ষার
পর মুক্তি পাওয়া এই ধারাবাহিকের ফোর্থ সিজন বা চতুর্থ মৌসুম সূচনাতেই আবারও নেটফ্লিক্সের
জন্য সুখবর বয়ে আনল।
‘স্ট্রেনজার থিংসে’র চতুর্থ
মৌসুমের প্রথম ভলিউমের ভিউয়ারশিপ নেটফ্লিক্সে সম্প্রচারিত ইংরেজি ভাষায় নির্মিত ধারাবাহিকের
মধ্যে সবচেয়ে বড় উইকেন্ড প্রিমিয়ারের রেকর্ড গড়েছে। আগের রেকর্ডটি ছিলো ‘ব্রিজারটন’র দ্বিতীয়
মৌসুমের প্রিমিয়ার।
এরআগের রেকর্ডধারী ‘ব্রিজারটন’ সিজন
২ এর সূচনা সপ্তাহের (২১ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত) ভিউয়ারশিপ ছিল ১৯ কোটি ৩০ লাখ ঘণ্টা।
এটা তখন ছিলো নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সূচনা সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দেখা ইংরেজি ভাষার ধারাবাহিক।
দেড় গুণ ভিউয়ারশিপ অর্জনের পর এখন এই রেকর্ড স্ট্রেনজার
থিংস ৪ এর দখলে চলে গেলো।
নেটফ্লিক্স প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার ধারাবাহিকের শীর্ষ ১০
এর সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, মে মাসের শেষ সপ্তাহে (২৩ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত) ডাফার ভাইদের
নির্মিত এই সাই-ফাই ধারাবাহিকের চতুর্থ মৌসুমের প্রথম ভলিউমটি ২৮ কোটি ৭০ লাখ ঘণ্টা
দেখা হয়েছে। তাই এটা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।
নেটফ্লিক্সে মে-এর শেষ সপ্তাহের ভিউয়ারশিপের তথ্য অনুযায়ী,
‘স্ট্রেনজার
থিংস’র চারটি মৌসুমের সবক’টি তালিকার
সেরা ৫-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ভিউয়ারশিপের হিসাবে সেরা ১০ ধারাবাহিকের তালিকার তৃতীয় অবস্থানে
২ কোটি ৮০ ঘণ্টার ভিউয়ারশিপ নিয়ে আছে ‘স্ট্রেনজার
থিংস ১’, এরপরের অবস্থানে ‘স্ট্রেনজার
থিংস ৩’ এবং পঞ্চম অবস্থানে আছে ‘স্ট্রেনজার
থিংস ২’। শুধু দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ‘দ্য লিংকন
লইয়ার: সিজন ১’।
২০১৯ সালে অক্টোবরে নেটফ্লিক্স জানায় ‘স্ট্রেনজার
থিংস ৩’ এই ধারাবাহিকের সবচেয়ে বেশি দেখা মৌসুম। ওই মৌসুম
সম্প্রচার শুরুর প্রথম মাসেই ৬ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক তা দেখেছেন।
২০১৬ সালে সম্প্রচার শুরুর পরপরই ‘স্ট্রেনজার
থিংস’ নেটফ্লিক্সের ‘ফ্ল্যাগশিপ’ ধারাবাহিকে
পরিনত হয়। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দৈর্ঘ্যের সময়সীমার কারণে সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসে
সিজন ফোর। এর সবচেয়ে ছোট পর্বটি ৬৩ মিনিট দীর্ঘ এবং সপ্তম পর্বটি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য
চলচ্চিত্রের কাছাকাছি, ৯৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের।
স্ট্রেনজার থিংস ৪ এর দ্বিতীয় অংশ মুক্তি পাবে ১ জুলাই।
এই ধারাবাহিকের পঞ্চম মৌসুমের ঘোষণাও এরইমধ্যে চলে এসেছে, যা হয়ত শেষ মৌসুম হিসেবে
মুক্তি দেওয়া হবে।