ক্যাটাগরি

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাত আরও বিস্তৃত হবে: অর্থমন্ত্রী

বুধবার
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুস্তফা কামাল।

বাজেটের
বিষয়গুলো জানতে বাজেট উত্থাপন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন,
“কিছু মানুষের কাছে বাজেটের
কিছু অংশ আগেভাগে
প্রকাশ করা ঠিক হবে না। তবে বাজেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর
জন্য সামাজিক নিরাপত্তা প্রশস্ত করা হয়েছে।”

তিনি
বলেন, “যে চ্যালেঞ্জিং সময় মোকাবেলা
করে যাচ্ছি, এ সময়ে দেশের মানুষকে যতটা পারি সহায়তা করব। ন্যায়সঙ্গত হবে না, এমন
কিছু তাদের উপর চাপিয়ে দেবো না।”

আগামী
৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করা হবে। দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ
এবং ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে সরবরাহ ঘাটতির বিষয়গুলো এবারের বাজেটে বাড়তি চাপ হিসাবে কাজ করছে
বলে স্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী।

এমন পরিস্থিতিতে বাজেটে
কোন খাত অগ্রাধিকার পাবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব
পাবে অনিশ্চয়তা। বিশ্ব
অর্থনীতিতে যে অনিশ্চয়তা বিরাজমান এর মাঝে কেমন করে সেখানে আমরা জায়গা
করে নিতে পারি, আমরা আরেও কীভাবে অর্থনীতিকে
গতিশীল করতে পারি সেগুলো বাজেটে জায়গা পেয়েছে।

“কোন না কোন চ্যালেঞ্জিং
টাইম থাকবেই। এগুলো
একদিকে যেমন কঠোর,
আরেকদিক থেকে এগুলো আমাদের সুযোগ সৃষ্টি করে। আমাদের এই সুযোগ কাজে
লাগাতে হবে।”

কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেইনের যুদ্ধ অনেক সম্প্রসারিতভাবে সুযোগ সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে
মুস্তফা কামাল বলেন, “সুযোগগুলো আমাদের
কাজে লাগাতে হবে। আমি মনে করি, যেকোন অর্থনীতিবীদ এর বাইরে চিন্তা করতে
পারে না, এর বাইরে চিন্তা করার কিছু নেই।”

আর্থিক
খাত দুর্বল নেতৃত্বে চলছে বলে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মন্তব্য
প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী
বলেন, “আমি তার প্রতি সম্মান এবং বিশ্বাস রেখে বলতে পারি, বিশ্বে সংকটের
মাঝে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে আমরা এগিয়ে নিয়েছি, আমার মনে
হয় দিস ইজ দ্য বেস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

“অন্যদের সাথে তুলনা করলেও
বুঝতে পারবেন, আমরা ভালো আছি। কেউ যদি ভালো সময়ের সঙ্গে এই সময় মেলানোর চেষ্টা করে, তাহলে মেলানো যাবে না। এটা যদি একই রকম না হয়
তাহলে কার সঙ্গে কার কম্পেয়ার করবেন।”

ইউক্রেইনে
যুদ্ধের প্রভাব তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “চাপ বোধ করছি এটুকুই যে আমরা চাই যুদ্ধটি
শেষ হোক। কোভিড শেষ করলাম, কোভিড যা ক্ষতি করার করেছে। কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে আমরা
যখন বিভিন্ন দিকে মগ্ন ছিলাম, সেই সময়ে আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো।

“এটা ডেফিনেটলি এক্সটারনাল
যে ভালনারিবিলিটিগুলো সম্পর্কে প্রজেকশন করা যায় না। প্রজেকশন করতে তো এজামপশন
করা লাগে। কিন্তু
যুদ্ধের কারণে সেটি করতে পারব না। এটুকু চাপ তো অবশ্যই। সবাইকে কিন্তু এটি নিয়ে
ভাবতে হচ্ছে।”