ক্যাটাগরি

আর্জেন্টিনার কাছে হেরে ইতালি কোচের পরিবর্তনের ডাক

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে
বুধবার রাতে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হারায় ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। প্রথমার্ধেই দুই
গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় কোপা আমেরিকা জয়ীরা।

লাউতারো মার্তিনেস দলকে এগিয়ে
নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আনহেল দি মারিয়া। শেষ দিকে তৃতীয় গোলটি করেন পাওলো
দিবালা।

গোল না পেলেও লিওনেল মেসি
ছিলেন দুর্দান্ত। অবদান রাখেন মার্তিনেস ও দিবালার গোলে। ম্যাচের সেরা হন পিএসজি সুপারস্টার।

গত মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে
প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে পুঁচকে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে হেরে কাতার বিশ্বকাপে উঠতে
ব্যর্থ হয় ইতালি। সেই লড়াইয়ের পর আর্জেন্টিনা ম্যাচটি ছিল তাদের দ্বিতীয়। মাঝে মার্চেই
প্রীতি ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছিল দলটি।

গত বছর জুলাইয়ে ইতালির ইউরোপিয়ান
চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর এখনও বছর পার হয়নি। তবে এরই মধ্যে যেন চূড়া থেকে পতন দেখে ফেলেছে
তারা। মানচিনিও তাই দলে জরুরি পরিবর্তন চান। তবে গত চার বছরে যারা দলে গুরুত্বপূর্ণ
অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি থাকছে তার শ্রদ্ধা।

আর্জেন্টিনা ম্যাচের পর স্কাই
ইতালিয়ার সঙ্গে কথা বলেন মানচিনি। এ সময় তিনি স্বীকার করেন দল হিসেবে প্রতিপক্ষের চেয়ে
বেশ পিছিয়ে ছিল ইতালি।

‌“প্রথমার্ধে আমরা তাদের
দুই গোলের সময় দুটি ভুল করেছি, এরপর তারা বল দখলে ভালো করেছে। তারা আমাদের চেয়ে ভালো
খেলেছে। কিন্তু এই চার বছর (আমাদের ছেলেরা) যেমন খেলেছে, সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ
জানাতে চাই।”

“বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন
করতে ব্যর্থ হওয়ার আক্ষেপ তো আছেই। আজকের (গতকালের) ম্যাচটি শুরুতে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ
ছিল, তবে পরে তারা আমাদের চেয়ে ভালো করে।”

দলে পরিবর্তন আনতে হলে ইতালিকে
সবার আগে ভাবতে হবে আক্রমণভাগ নিয়ে। কারণ গোল করাটাই এখন তাদের প্রধান সমস্যা। আর্জেন্টিনার
বিপক্ষে যেমন তাদের আক্রমণভাগকে সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। মানচিনিও সেটা মানছেন।

“এই ম্যাচের পরপরই কিছু পরিবর্তনের
কথা মাথায় এসেছে এবং এগুলো আমরা করব। আমাদের সঠিক খেলোয়ার খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের
নিয়ে দল গড়তে হবে। হয়তো শুরুতে দলটি ভুগবে, তবে ভবিষ্যতে আমাদের আনন্দ দিতে পারবে।”

“এই মুহূর্তে গোল করতে আমাদের
ভুগতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান খুব সহজ হবে না জেনেই আমাদের অনেক কাজ করতে হবে, সময়
লাগবে।”

ঘুরে দাঁড়াতে লম্বা পথ পাড়ি
দিতে হবে। মানচিনি তা ভালো করেই জানেন ও বোঝেন।

“আমি ইতবাচক মানুষ। আমি কাজ
ও অনুশীলন পছন্দ করি। এটা ঠিক যে আমরা দুর্দান্ত আর্জেন্টিনা দলের বিপক্ষে হেরেছি।
তবে সামনেও তো এমন কঠিন দল ও সময় আসবে এবং আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন তরুণ
খেলোয়াড়রা দ্রুত শিখতে পারে।”

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের
ক্ষত ভুলে এখন নেশন্স লিগের দিকে নজর দিতে হবে ইতালিকে। আগামী শনিবার ঘরের মাঠে জার্মানির
মুখোমুখি হবে দলটি। ফিরতি লেগে আগামী ১৪ জুন তারা খেলবে জার্মানদের মাঠে। মাঝে মানচিনির
দল খেলবে হাঙ্গেরি ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।