বৃহস্পতিবারের রায়ে জার্মানির শীর্ষ আদালত
বলেছে, বেআইনি আপলোডের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর ওই কনটেন্ট ব্লক করতে দ্রুত তৎপর না হলে
ইউটিউবকেই তার দায় নিতে হতে পারে।
অননুমোদিত কনটেন্টের আপলোড প্রসঙ্গে ইউরোপের
এক লাখ কোটি ডলারের কনটেন্ট বাজারের সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যেই
এই রায় এলো।
অননুমোদিত, বেআইনি এবং বিদ্বেষপূর্ণ কনটেন্টের
নিয়ন্ত্রণে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক মাধ্যমগুলো আদৌ পুলিশের ভূমিকা পালন করতে
পারে কী না, মামলার রায় সে বিতর্কেরই অংশ বলে মন্তব্য করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রায়ে জার্মানির আদালত আরও বলেছে, নীতিগত
বিবেচনায় কপিরাইট লঙ্ঘনকারী বা বেআইনি কনটেন্টের আপলোডকারীর পরিচয় এবং ইমেইল অ্যাড্রেস
প্রকাশ করতে বাধ্য করা যেতে পারে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে।
বৃহস্পতিবারের রায় এসেছে এক সংগীত প্রযোজকের
মামলা থেকে। এক শিল্পীর গান ও ভিডিওর স্বত্ব প্রযোজকের মালিকানায় থাকলেও ইউটিউবে আপলোড
করা হয়েছিল ওই ও গান ও ভিডিও। প্রযোজক ইউটিউবকে ওই গান ও ভিডিও মুছে দিতে আইনি নোটিশ
পাঠানোর পরেও প্ল্যাটফর্মটিতে ছিল কনটেন্ট।
এক্ষেত্রে ইউটিউব দায়ী কি না, সে প্রশ্নে
আদালত এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অর্থাৎ, নতুন নীতিমালার
ভিত্তিতে নতুন করে বিচার বিবেচনার জন্য আবারও নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে ওই মামলা।
এ প্রসঙ্গে ইউটিউব বলছে, কপিরাইটের মালিককে
তার ন্যায্য পাওনা পরিশোধ ও কপিরাইট লঙ্ঘন মোকাবেলার লক্ষ্যে তৈরি নিজস্ব ব্যবস্থার
ওপর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে তাদের।