পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগাম নির্বাচনের ডাককে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
সোমবার নেপালের সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ভদ্রকালি পোখারেল জানিয়েছেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্তির বিরুদ্ধে তিনটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, সেগুলো ‘নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে’।
রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে. পি. শর্মা অলি মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের সুপারিশ করেন।
এতে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইরত হিমালয় কোলের দেশটিতে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ওলির সিদ্ধান্তের পর সরকারের সাত জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে তাদের পক্ষে দেওয়া ‘গণরায়ের’ লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
রাস্তায় নেমে আসা প্রতিবাদকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়েছেন।
“সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার কোনো ক্ষমতা নেই,” রয়টার্সকে বলেছেন পিটিশনকারীদের একজন আইনজীবী দিনেশ ত্রিপাঠি।
“এটি একটি সাংবিধানিক ক্যু। আদালতের কাছে একটি স্থগিতাদেশ চেয়েছি আমি।”
অলি মন্ত্রিসভার পরামর্শ অনুযায়ী রোববার নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, সাধারণ নির্বাচনের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ১০ মে তারিখ নির্ধারণ করেছেন; এতে নির্ধারিত সূচী থেকে নির্বাচনের সময় এক বছরেরও বেশি এগিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি নিজ দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) মধ্যেই সমর্থন হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অলি। তার বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মূল দলকে এড়িয়ে অন্তরঙ্গ একটি উপদলের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে দলের সদস্যদের না নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বেশ কিছু সদস্য।
অলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির ওই সদস্যরা।
অপরদিকে অলির উপদেষ্টা রাজন ভট্টরাই বলেছেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রে এটাই সবচেয়ে সেরা উপায়।”