প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবনে এই বৈঠক হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘টিকাদান এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাসহ প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রোটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
বৈঠকের শুরুতেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফররত মালয়শিয়ার মন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী।
দুই দেশের মধ্যে গত ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এমওইউর পৃষ্ঠপোষকতায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ জানান শেখ হাসিনা। অসামরিক কাজে ব্যবহারে বাংলাদেশি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিষয়ে মালয়শিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসাও করেন তিনি।
স্বাধীনতার পরপরই মালয়শিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মালয়শিয়ার মন্ত্রীও চলমান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক নিয়ে সন্তোষ জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তাদের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠন এবং আইএলও নির্দেশিকা অনুসরণ করে তাদের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া সুগম করার বিষয়ে অবহিত করেন।
দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন, “আমরা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এই লক্ষ্যে আমরা এরইমধ্যে ন্যূনতম মজুরি দেড় হাজার আরএম (মালয়েশীয় রিঙ্গিত)-এ উন্নীত করেছি।”
তিনি জানান,
তারা এখন সব কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করেছেন যাতে প্রতিটি পদক্ষেপে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়।
মালয়শিয়া শুধু চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে জানিয়ে মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, তারা নিয়োগকারী সংস্থাকে মাঝখানে না রেখেই নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে কর্মীদের বেতন কার্ড অ্যাকাউন্টে সরাসরি ই-পেমেন্টে ইনস্টল করেছেন।
তবে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ বাস্তবায়নে দেরী হওয়ায় মানবপাচারের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি।