ক্যাটাগরি

প্রতিপক্ষ অপশক্তিকে দুর্বল ভাবা যাবে না: আ জ ম নাছির

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও কমিশনার লিয়াকত আলী খানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সাবেক এই সিটি মেয়র।

এরআগে নগরীর পাঁচলাইশ চালিতাতলি উকিলের জামে মসজিদ কবরস্থানে প্রয়াত লিয়াতক আলী খানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

আলোচনায় সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সুদৃঢ় করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র,
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো তৎপর।

“এই অশুভ শক্তির কালো হাত ভেঙে দিতে হবে। কোনভাবেই প্রতিপক্ষ অপশক্তিকে দুর্বল ভাবা যাবে না। কারণ তাদের পেট্রোডলার আছে। এরা আগুন-সন্ত্রাস চালিয়ে নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। এই যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে দলের দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নিজেকে নিবেদিত করব।”

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন,
“বিপ্লবী জননেতা লিয়াকত আলী খানের হত্যকারীরা আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে বেরিয়ে এসে আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। লিয়াকত আলী খানের চিহ্নিত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে পুনঃবিচার দাবি করছি।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয় পরিষদের নেতারা সংগঠনের প্রয়াত নেতা লিয়াকত আলী খানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বৃহস্পতিবার জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয় পরিষদের নেতারা সংগঠনের প্রয়াত নেতা লিয়াকত আলী খানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, উপদেষ্টা আলহাজ সফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম,
সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে ১৯৯৯ সালের ২ জুন নগরীর পাঁচলাইশ থানার চালিতাতলী এলাকায় নিজ বাসার সামনে সন্ত্রাসীরা নগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খানকে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় লিয়াকতের বড়ভাই আবু তাহের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১১ সালের ৩১ মার্চ মামলার রায়ে
‘অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়’ ১০ আসামি – ‘শিবির কর্মী’ মো. সাজ্জাদ আলী ওরফে সাজ্জাদ খান, মো. ইসমাইল,
আবদুল হালিম কালু,
মনা ওরফে মনাইয়্যা,
লিয়াকত আলী জসিম,
মুন্না, কামাল উদ্দিন,
মো. শাহজাহান,
মো. নুরুল আবছার ও তামান্না বেগমকে খালাস দেন আদালত।