ক্যাটাগরি

স্যাটেলাইটের জন্য ‘স্পেস লেজার’ বানাবে সনি

এই লক্ষ্যে বুধবার
‘সনি স্পেস কমিউনিকেশনস কর্পোরেশন’ নামে নতুন একটি কোম্পানির নিবন্ধন করেছে সনি গ্রুপ
কর্পোরেশন।

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি
নির্ভর যোগাযোগের সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটাতেই সনি লেজার প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে বলে জানিয়েছে
বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মহাকাশে থাকা
ছোট ছোট স্যাটেলাইটগুলো নতুন কোম্পানির তৈরি ডিভাইসের মাধ্যমে লেজার রশ্মি ব্যবহার
করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখবে। ভূপৃষ্ঠে থাকা স্যাটেলাইট স্টেশনগুলোর সঙ্গেও স্পেস
লেজারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে স্যাটেলাইটগুলো।

নতুন কোম্পানির
তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক ডিভাইসটি কবে নাগাদ মহাকাশে কাজ শুরু করবে, সে প্রসঙ্গে কোনো
তথ্য দেয়নি সনি। পুরনো ক্রেতারা নতুন ডিভাইস কিনতে আগ্রহী কি না, নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের
আকার- এ বিষয়গুলোও চেপে গেছে কোম্পানিটি।

পৃথিবীর কক্ষপথে
বর্তমানে ১২ হাজার স্যাটেলাইট আছে বলে ধারণা করা হয়। রকেট কোম্পানিগুলো মহাকাশে কোনো
কিছু পাঠানোর খরচ কমিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ায় আগামী বছরগুলোতে মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা
আরও বাড়বে।

এ খাতে তৎপরতা
বেড়েছে অ্যামাজন ও স্পেসএক্সের মত কোম্পানিগুলোর। ইতোমধ্যে মহাকাশে দুই হাজারের বেশি
স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। আর অ্যামাজন মহাকাশে তিন হাজারের বেশি ছোট
ছোট ইন্টারনেট স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

সনির নতুন সহযোগী
কোম্পানির প্রেসিডেন্ট কিয়োহেই ইওয়ামোতো এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রতিবছর কক্ষপথে ডেটার
ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু রেডিও তরঙ্গের সংখ্যা সীমিত।”

স্টারলিংক স্যাটেলাইটের
জন্য লেজারনির্ভর যোগাযোগের ডিভাইসগুলো নিজস্ব কারখানাতেই বানায় স্পেসএক্স। গত বছরের
শেষ নাগাদ প্রথমবারের মতো স্টারলিংক স্যাটেলাইটের সঙ্গে স্পেস লেজার ডিভাইসগুলো মহাকাশে
পাঠিয়েছিল কোম্পানিটি।

অন্যদিকে ২০২০
সালেই এ প্রযুক্তি নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছিল সনি। ইন্টারন্যাশনাল
স্পেস স্টেশন (আইএসএস) থেকে স্পেস লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাপানের স্যাটেলাইট
স্টেশনে একটি এইচডি ছবির ডেটা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল তারা।