এক ফেইসবুক শোতে এসে তিনি বলেছেন, স্মিথ
আর রক নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেবেন, সেই আশাতেই তিনি আছেন।
অস্কারের ওই অনুষ্ঠানে পিনকেট স্মিথের মুণ্ডিত মাথা নিয়ে রসিকতা করেছিলেন
সঞ্চালক ক্রিস রক, যা হজম করতে না পেরে মঞ্চে উঠে সপাটে চষ কষিয়েছিলেন স্মিথ। তিনিই
এবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন।
চড়কাণ্ডের জল গড়ায় বহুদূর। অস্কারের আয়োজক অ্যাকডেমি অব মোশন পিকচারস আর্টস
অ্যান্ড সায়েন্স ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। পরে
১০ বছরের জন্য উইল স্মিথকে অস্কারে নিষিদ্ধও করা হয়।
উইল স্মিথ অবশ্য পরে ওই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। তখন মুখে কিছু না
বললেও ইনস্টাগ্রামে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে
এই অভিনেত্রী ‘সুস্থ হয়ে ওঠার সময়ের’ কথা লিখেছিলেন।
উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়ে ক্রিস রকের ‘রসিকতা’ নতুন নয়
অস্কারের মঞ্চে ক্রিস রককে উইল স্মিথের চড়
ঘটনার দুই মাস পর বুধবার প্রথমবারের মত এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন জেডা
পিনকেট স্মিথ। ফেইসবুকে ‘রেড টেবিল টক’ নামের ওই অনুষ্ঠানটির একটি বিশেষ পর্ব ছিল
‘এলোপিশিয়া’ রোগ নিয়ে। ২০১৮ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়েই চুল হারান এ অভিনেত্রী।
স্মিথ ও রককে নিয়ে তিনি বলেন, “তারা দুজনেই বুদ্ধিমান, নিজেদের শুধরে নেওয়ার
সুযোগ আছে তাদের। কথা বলে মিটমাট করে পুরনো বন্ধুত্বেও তারা ফিরে যেতে পারে।”
পুরস্কারের
ওই মঞ্চে রাগের মাথায় স্মিথ যা করেছেন, তা সমর্থন করেন না পিনকেট স্মিথ। তবে
অস্কার অনুষ্ঠানের ওই চড় মারার ঘটনা ‘এলোপিশিয়া’ রোগটি সম্পর্কে অনেক মানুষকে
সচেতন করেছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি
বলেন, মানুষ যখন এ রোগটির যন্ত্রণা না জেনেই মজা করে, সেটার কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীই
বুঝতে পারেন।
স্মিথ ও
রক ১৯৯০ এর দশক থেকে পরস্পরকে চেনেন এবং একসঙ্গে কাজও করেছেন। উইল স্মিথের জনপ্রিয়
ধারাবাহিক ‘দ্য ফ্রেশ প্রিন্স অব বেল-এয়ার’-এ অতিথি শিল্পী হিসেবে অংশ নেন ক্রিস
রক। তবে এর আগেও স্মিথ ও তার স্ত্রীকে নিয়ে কৌতুক করেছিলেন রক।