প্রশিক্ষণের জন্য
আসা এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল ব্যাংক থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর
সময় প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়ায় টাকাগুলো আর ব্যবহার হয়নি। এদিকে ব্যাংক থেকে তোলার পর
এই টাকা কোথায় গিয়েছে তার কোনো তথ্য হিসাব শাখায় নেই।
উপজেলা পল্লী
উন্নয়ন অফিসের হিসাব শাখা ও কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড
ফুলবাড়ী উপজেলা অফিসের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের
কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি’ [উদকনিক] প্রকল্পের আওতায় চারটি ব্যাচে ১১৯ জন
প্রশিক্ষণার্থীর জন্য ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকার বরাদ্দ আসে। পরিকল্পনা মতো তিনটি
ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ করা হয়। এর মধ্যে দেশব্যাপী করোনার প্রভাবের কারণে একটি
ব্যাচের প্রশিক্ষণ স্থগিত করা হয়।
ওই ব্যাচের জন্য বরাদ্দ
৯ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করেন তৎকালীন উপজেলা পল্লী
উন্নয়ন কর্মকর্তা সামছুল হুদা এবং বর্তমান হিসাবরক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ। কিছুদিন পর
বদলি হয়ে সামছুল হুদা অন্যত্র চলে যান। কিন্তু সরকারি কোষাগারে এই টাকা [৯ লাখ ১২
হাজার] আর জমা পড়েনি। ফলে ওই টাকার কী গতি হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্টভাবে মুখ খুলছেন
কেউ।
বিষয়টি নিয়ে
ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের হিসাবরক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, করোনার কারণে
প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়ায় পুরো টাকা প্রকল্প পরিচালক (পিডি) রফিকুল ইসলাম স্যারকে দেওয়া
হয়েছে।
তবে এই টাকা
দেওয়ার কোনো প্রমাণ তিনি রাখেননি বলে জানান।
ওই সময়ের উপজেলা
পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সামছুল হুদা বলেন, “ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে অফিসের
সকল কর্মচারীর উপস্থিতিতে সমুদয় টাকা হিসাবরক্ষকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমি
বদলি হয়ে চলে আসায় পরে কী হয়েছে তা আমার জানা নেই।”
বর্তমান উপজেলা
পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোছা. উম্মে কুলছুম বলেন, “এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য
নাই।”
এ প্রসঙ্গে
উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি (উদকনিক) প্রকল্পের
পরিচালক (পিডি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “হাতে হাতে টাকা নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি জানলাম। অনিয়ম হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিষয়টি
গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে বলে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস জানান।