ক্যাটাগরি

শফীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সোমবার হেফাজতে ইসলামের সহকারী
মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওলামা-মাশায়েখদের
এই যৌথ বিবৃতির কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, একটি কুচক্রি
মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও আলেম সমাজকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

হেফাজতের আমির আহমদ শফী হাটহাজারী মাদ্রাসায়
কর্তৃত্ব হারানোর পরদিন গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তার মৃত্যুর পর হেফাজতে বিরোধের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার
চট্টগ্রামের আদালতে শফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন একটি মামলা করেন: যাতে শফীকে ‘মানসিক
নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে’ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় ৩৬ জনকে আসামির অধিকাংশই হেফাজতের বর্তমান
আমির জুনাইদ বাবুনগরীর অনুসারী। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা মো. নাসির
মুনিরকে। আর দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার
জন্য আলোচনায় আসা হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে।

আহমদ শফীকে ‘হত্যার’ অভিযোগে মামুনুলসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
 

বিবৃতিতে বলা হয়, “আল্লামা
শাহ আহমদ শফী স্বাভাবিকভাবে ইন্তেকাল করেছেন। যা তার বড় ছেলে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি
মিডিয়ার সামনে পরিষ্কারভাবে জাতিকে জানিয়েছেন।
“হাটহাজারী মাদ্রাসার সকল শিক্ষকবৃন্দ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট
বক্তব্য দিয়েছেন এবং মৃত্যুর পূর্বাপর দুই দুটি দেশসেরা হাসপাতালের রিপোর্ট ও ডেথ
সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে স্পষ্ট হয়েছে।”

“কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের
বিষয় এই যে, এর পরও স্বার্থান্বেষী মহলটি হজরতের স্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়ে ঘোলা পানিতে
মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, “দেশে
একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং অদৃশ্য শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতে
ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশের জননন্দিত আলেম-উলামার বিরুদ্ধে মিথ্যা
মামলা দায়ের ও শীর্ষ মুরব্বীদের ব্যপারে বেয়াদবীমূলক বক্তব্য ও আচরণ করে যাচ্ছে।
“শুধু তাই নয়, সারা দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে
অনুষ্ঠিত সম্মেলনে  হেফাজতে ইসলামের যে জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে, তার
ব্যাপারেও তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সচেতন মহল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।”

বিবৃতিতে ‘মিথ্যা মামলা’
প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে দেশে ‘শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

“মামলা প্রত্যাহার করা না
হলে হেফাজতে ইসলাম ও আলেম সমাজ প্রতিবাদী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে,“ হুঁশিয়ারিও দেওয়া
হয় বিবৃতিতে।