বরিশাল মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন মজুমদার জানান, স্বামীর দায়ের করা হত্যা মামলায় সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউপির ছোট রাজাপুর গ্রাম থেকে শনিবার সকালে লিপি আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
লিপি (৩০) ওই এলাকার জেলে সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী।
জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একই ইউপির রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কৃষক কবির খানের (৫০) সঙ্গে লিপির পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। গত ২৭ মে লিপির ১৩ বছরের মেয়ে তন্নী আক্তার মাকে কবির খানের সঙ্গে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ দেখে ফেলে। এ সময় তন্নী ঘটনাটি তার বাবাকে বলে দেওয়ার কথা জানায়।
তখন লিপি ও কবির গামছা দিয়ে বেঁধে তন্নীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ওই গামছা দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে তারা। ঘটনাটি আত্মহত্যা সাজাতে কিছুক্ষণ পর লিপি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন গিয়ে তন্নীর লাশ নামায়।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে তা পরিবারের হস্তান্তর করে। এছাড়া এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলাও করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তন্নীকে হত্যায় লিপির সংশ্লিষ্টার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, লিপির স্বামী তার মামলায় স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক কবির খানকে প্রধান আসামি করেছেন।
এছাড়া শায়েস্তাবাদ ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জসিমউদ্দীনকে আসামি করেছেন হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার সহায়তা করার অভিযোগে।
৫২ বছর বয়সী জসিমউদ্দীন পানবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোবাহান খানের ছেলে।