ক্যাটাগরি

আবরার হত্যা: আদালত পরিবর্তনের আবেদনে সাড়া মেলেনি

অনীক সরকারসহ ১৬ আসামির করা ওই আবেদন উত্থাপিত হয়নি
বলে হাই কোর্ট সোমবার খারিজ করে দিয়েছে।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের
ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আলেচিত এই মামলা ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এ বিচারাধীন।

ওই আদালতের প্রতি গত ৩ ডিসেম্বর অনাস্থা জানায় আসামিপক্ষ।
মামলাটি অন্য আদালতে বদলির নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর ১৬ আসামি হাই কোর্টে আবেদন
করেন।

আসামিদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক
চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যার্টনি
জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত
পরিবর্তনের আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১
এ মামলার কার্যক্রম চলবে।”

বর্তমানে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ৬০ জন সাক্ষীর
মধ্যে ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে বলে ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল জানান।

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবরারকে
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে বেদম
মারধর করে। এতে তার মৃত্যু হয়।

পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া থেকে এসে ১৯ বুয়েটছাত্রকে
আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন।

এক মাস পর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে
অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের
বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।

গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা
বিভাগ থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তর করে আদেশ জারি
হয়।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যে কোনো মামলা ৯০
কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি
করা না গেলে আরও ৪৫ দিন সময় নিতে পারে আদালত।

মামলার আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭
জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তিন
আসামি পলাতক রয়েছেন।