রোববার বিকেল পাঁচটায় সংসদের বৈঠক বসবে। গত ১৮ মে এ অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মহামারীকালের অন্য অধিবেশনের মত এবারও সংসদ সদস্যদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। তবে এবার নির্দিষ্ট দিনের জন্য তালিকা করে সংসদ কক্ষে ঢোকানোর নিয়ম
থাকছে না। করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ থাকলেই সব আইন প্রণেতা অধিবেশনে বসতে পারবেন।
মহামারীর কারণে এর আগের দুই বছরের বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত ছিল। বাজেট উত্থাপনের পর সম্পূরক বাজেট নিয়ে আলোচনা ও পাস এবং নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যরা। এবারের
অধিবেশন কিছুটা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে বলে জানা গেছে।
সরকারি দলের হুইপ ইকবালুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার আমরা মাননীয় সংসদ সদস্যদের জন্য রোস্টার করছি না। করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ থাকা সবাই সংসদে অংশ নিতে পারবেন।”
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, এবারের বাজেট অধিবেশন মহামারীকালের অন্য বাজেট অধিবেশনগুলোর চেয়ে দীর্ঘ হতে পারে। করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও আগের মত কড়াকড়ি থাকবে না, তবে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
এবারের অধিবেশনে সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং গণমাধ্যম কর্মীদের অধিবেশন চলাকালে সংসদে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।
গত ৬ এপ্রিল সপ্তদশ অধিবেশন শেষ হয়।
দুই বছর পর বসছে কার্যউপদেষ্টা কমিটি
সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার আগে অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যপরিধি ঠিক করতে বৈঠকে বসবে কার্য উপদেষ্টা কমিটি। এই কমিটির সভাপতি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কমিটির সদস্য।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর আর কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক বসেনি।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সংসদ অধিবেশনের
সময়সূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে।
এবারের অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য শনিবার পর্যন্ত চারটি বিল সংসদ সচিবালয়ে জমা পড়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন বিল, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধন) বিল এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল।