শনিবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মিলনায়তনে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি করেন বলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, “আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি।
“জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলো, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নান সাহেবকে ধর্ম মন্ত্রী বানালো, কিন্তু ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন।”
কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি।
“আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ শফী সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন, যেন কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন। অনেকে ভেবেছেন, আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন “
স্বীকৃতি দেওয়ার পরও বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সম্পাদক বলেন, “স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেকে বলেছেন স্বীকৃতি দিয়েছেন- কিন্তু চাকরি হবে না, চাকরি পেলে বেতন পাবেন না। কিন্তু আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকরিও দিয়েছেন, তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরেও ছিল।”
সারাদেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হচ্ছে না।”
দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যা কেউ কখনও ভাবেনি। ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো মসজিদ হয়নি।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের জন্য যা করেছে, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি।”
ইসলামের জন্য সরকার যে কাজগুলো করেছে, আলেমরা যাতে তা প্রচার করেন, সেই ‘ফরিয়াদ’ও জানান তথ্যমন্ত্রী।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরীফের পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও আতাউল গণি ওসমানি, পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।