সোমবার থেকে শুরু হওয়া ২৪ ঘণ্টার এই রিলে অনশনে কৃষকরা খাবার না খেয়ে দাবি আদায়ে অনড় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট বিক্ষোভকারী নেতা যোগেন্দ্র যাদব।
আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে বিক্ষোভকারী কৃষক নেতারা তাদের সমর্থকদেরকে ২৩ ডিসেম্বরে একবেলা খাবার না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ এর আগামী পর্বে থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্যও জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছেন ‘ভারতী কিষাণ ইউনিয়ন’ এর নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়াল।
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের করা বিতর্কিত তিনটি কৃষি সংস্কার আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করে আসছে। দিল্লি অভিমুখী সড়কও তারা অবরোধ করেছে।
দিল্লি ও আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডাতেও আন্দোলনরত কৃষকরা তাদের দাবিতে অনঢ় থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষক ও সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও কোনও ফল বয়ে আনেনি।
গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে এক কৃষক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মোদী কৃষি আইন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে কৃষকদের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করেন এবং কারও কোনও উদ্বেগ থাকলে তা দূর করতে আলোচনায় প্রস্তুত বলেও জানান। কিন্তু তাতেও থামছে না আন্দোলন।
কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি সংস্কার আইন ভারতের নিয়ন্ত্রিত বাজারব্যবস্থা ভেঙে দেবে এবং সরকারও ধীরে ধীরে নির্ধারিত মূল্যে গম ও ধান কেনা বন্ধ করে দেবে; যার ফলে তাদেরকে ফসল বেচতে বেসরকারি ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষিতে নামতে হবে।
তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের মনে যে ধারণা তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
মোদীর কথায়, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ মূল্য আগে যেমন ছিল তেমনই থাকবে; এটি তুলে নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।