ক্যাটাগরি

মেয়ার্স-ব্রুকসের সেঞ্চুরিতে উইন্ডিজের তিনে তিন

আমস্টেলভিনে শনিবার তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ২০ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজ তারা জিতে নিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে করে ৩০৮ রান। ১০৬ বলে ৭ ছক্কা ও ৮ চারে ১২০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মেয়ার্স। ১১৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ১০১ রান করেন ব্রুকস।

জবাবে অনেকটা সময় পর্যন্ত লড়াইয়ে থেকেও এক বল বাকি থাকতে নেদারল্যান্ডস থমকে যায় ২৮৮ রানে। ১২১ বলে ৮ চারে ৮৯ রান করেন ওপেনার ও’ডাওড।

টানা তিন জয়ে মূল্যবান ৩০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে চার নম্বরে উঠে এলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮০ পয়েন্ট)। এই সংস্করণে টানা ৯ ম্যাচে হারা নেদারল্যান্ডস ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে তলানিতে।

ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল ধীরলয়ে। প্রথম ৫ ওভারে রান ছিল কেবল ১৬। এরপর বাড়ে একটু গতি। ১০ ওভার শেষে রান বিনা উইকেটে ৫১। একটু পরই ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শেই হোপের বিদায়ে। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবার ২৪ রান করতে খেলেন ৪৩ বল।

মেয়ার্স ও ব্রুকস এরপর এগিয়ে নেন দলকে। মেয়ার্স ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৩ বলে। ৫৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ব্রুকস। এর মাঝে ১৩ রানে একবার তিনি বেঁচে যান আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে। ৬১ রানে আরেক দফা জীবন পান ও’ডাওড ক্যাচ ফেলায়।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাওয়া মেয়ার্স ৯৬ বলে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭ চার ও ৫ ছক্কায়। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তিনি পরপর চার-ছক্কা মারেন পিটার সিলারকে। আরেকটি ছক্কায় ওড়ান ভিভিয়ান কিংমাকে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পরের ওভারেই বিদায় নেন ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে। ভাঙে ১৭৪ বলে ১৮৪ রানের জুটি।

অধিনায়ক নিকোলাস পুরান সিরিজে টানা তিন ম্যাচে আউট হন আরিয়ান দত্তের বলে। স্থায়ীভাবে সাদা বলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রথম সিরিজে তার রান মোটে ২৩। ঝড় তুলতে পারেননি ব্রান্ডন কিংও।

ব্রুকস ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন শেষ ওভারে। এনক্রমা বনার ১৬ বলে করেন অপরাজিত ১৯ রান।

বড় রান তাড়ায় ও’ডাওড ও বিক্রমজিত সিংয়ের ব্যাটে নেদারল্যান্ডসের শুরুটা হয় দারুণ। দুই জনে ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ১০৩ বলে। এরপর সেঞ্চুরিয়ান মেয়ার্সের বলেই ভাঙে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি। তিনি বোল্ড করে দেন ৫৫ বলে ৫৪ রান করা বিক্রমজিতকে।

ও’ডাওড দ্বিতীয় উইকেটে মুসা আহমেদের সঙ্গে ৬৬ রানের আরেকটি কার্যকর জুটিতে এগিয়ে নেন দলকে। মুসা ৪২ করে বিদায় নিলেও ৫৭ বলে ফিফটি করে এগিয়ে যান ও’ডাওড। মাঝে ডে লেডে ফেরেন ২৫ রান করে।

শেষ ৪৮ বলে ৭ উইকেট হাতে রেখে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৭৮ রান। তখনও ৮৮ রানে ব্যাটিংয়ে ও’ডাওড। কিন্তু পরের ওভারে তিনি আর এক রান যোগ করে বিদায় নেওয়ার পর নিয়মিত উইকেট হারায় ডাচরা। তাই তারা পৌঁছাতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩০৮/৫ (হোপ ২৪, মেয়ার্স ১২০, ব্রুকস ১০১*, পুরান ৭, কিং ১০, আকিল ৩, বনার ১৯*; ফন বিক ১০-১-৫৮-১, কিংমা ৯-০-৬৬-১, ক্লেইন ৮-০-৫২-১, ডে লেডে ৫-১-৩৪-১, আরিয়ান ১০-১-৪৪-১, সিলার ৮-০-৫০-০)

নেদারল্যান্ডস: ৪৯.৫ ওভারে ২৮৮ (বিক্রমজিত ৫৪, ও’ডাওড ৮৯, মুসা ৪২, ডে লেডে ২৫, এডওয়ার্ডস ১৮, নিদামানুরু ৮, ফন বিক ১৫, সিলার ১৬, আরিয়ান ১*, ক্লেইন ২, কিংমা ০; সিলস ১০-০-৫৯-১, আকিল ১০-১-৫২-২, লুইস ৯.৫-০-৬৭-৩ মেয়ার্স ৭-১-৩১-১, কার্টি ১-০-৯-০, হেইডেন ১০-১-৫৪-২, বনার ২-০-১১-০)

ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: কাইল মেয়ার্স

ম্যান অব দা সিরিজ: আকিল হোসেন

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে জিতল ক্যারিবিয়ানরা