রোববার এ বিস্ফোরণগুলোর পর এক প্রত্যক্ষদর্শী শহরটিতে ধোঁয়া দেখার কথা জানিয়েছেন।
ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্কের কিছু অংশ পুনর্দখল করেছে, এমন দাবির পরদিন কিইভে এ বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেল।
রোববার ভোরের দিকে কিইভ অঞ্চলসহ ইউক্রেইনের প্রায় সব এলাকাতেই বিমান হামলার সতর্ক সংকেত শোনা যায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“রাজধানীর দরনিৎস্কি ও দনিপ্রভস্কি জেলায় একাধিক বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিভিন্ন বিভাগের লোকজন এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। পরে বিস্তারিত জানাবো,” ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এমনটাই লিখেছেন ক্লিৎসকো।
আগের দিনই ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা পূর্বাঞ্চলে কৌশলগত গুরুত্পূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কে তাদের সেনাদের পাল্টা আক্রমণে রুশ বাহিনী অনেকখানি পিছু হটেছে বলে দাবি করেছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, শনিবারের আগে ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণে ছিল সেভেরোদোনেৎস্কের ৩০ শতাংশ এলাকা; কিন্তু পাল্টা আক্রমণে তারা আরও প্রায় ২০ শতাংশের পুনর্দখল নিয়েছে।
“উত্তেজনাকর, জটিল পরিস্থিতি। খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতি আছে। এর মধ্যেও আমাদের সেনারা শত্রুদের শহর থেকে বের করে দিতে সব কিছু করছে,” টেলিভিশনে বলেছেন সেভেরোদোনেৎস্কের মেয়র ওলেক্সান্দর স্ট্রিয়াক।
শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে; উভয় পক্ষই কামানের গোলা ছুড়েছে, বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে রুশ বাহিনী জানিয়েছে, সেভেরোদোনেৎস্কে তাদের অগ্রগতি অব্যাহত আছে এবং ইউক্রেইনের সৈন্য ও সরঞ্জামের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দুই পক্ষের কারও দাবিই স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
ইউক্রেইনকে নিরস্ত্র ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশটিতে অভিযানে নামা রাশিয়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ‘দনবাস মুক্ত করার’ দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছে।
সেভেরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে পুরো লুহানস্ক অঞ্চল তাদের দখলে চলে আসবে। লুহানস্ক আর দোনেৎস্ক প্রদেশ মিলেই দনবাস; ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর সময় রাশিয়া যেসব লক্ষ্য ঠিক করেছিল, তার একটি ছিল দনবাস থেকে ইউক্রেইনীয় বাহিনীকে হটিয়ে সেখানে মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।