আইপিও ছাড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর বীমা খাতের এই কোম্পানিটির
শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবারই প্রথম লেনদেনে আসে।
ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স আইপিওতে তাদের শেয়ার বিক্রি করেছে ১০
টাকা অভিহিত মূল্যে।
সোমবার এ শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫ টাকা।
অর্থাৎ প্রথম লেনদেনে ১০ টাকার শেয়ারটি বিনিয়োগকারীরা ৫০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি
করতে পেরেছেন।
একবারে ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের মাত্র ৫০০টি শেয়ার হাতবদল
হয়েছে, টাকার অংকে যার দাম ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
তালিকাভুক্তির পর প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে নতুন
কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সকে
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যেমে ১ কোটি ৬০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার
থেকে ১৬ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ
কমিশনের (বিএসইসি)।
৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর বিনিয়োগকারীরা লটারির আবেদন করেন।
গত ৩ ডিসেম্বর লটারি শেষে ১৫ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের বিও একাউন্টে শেয়ার যোগ হয়।
ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স বিএসইসিকে জানিয়েছে, পুঁজিবাজার থেকে
সংগ্রহ করা ১৬ কোটি টাকা তারা পুঁজিবাজারে এবং এফডিআরে বিনিয়োগ করবে।
ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স ১৯৯৯ সালের ১১ নভেম্বর ব্যবসায়িক
নিবন্ধন পেয়ে ২০০০ সালের ১২ জুন কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৯ সালে এ কোম্পানি মুনাফা
করেছে ৭০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের ৪ কোটি শেয়ার আছে। এর
মধ্যে ৬০ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৬ দশমিক
শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪ শতাংশ শেয়ার আছে।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪
কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানির বাজার মূলধন ৪০ কোটি টাকা।