প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস নীতিমালা, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপদ খাদ্য পণ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদনের শুরু থেকে সংগ্রহ ও সংগ্রহের পরে যেমন- মাঠ থেকে সংগ্রহ, প্যাকেজিং, পরিবহন ইত্যাদি পর্যায়ে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
“এটা আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ ও যারা আমাদের এখান থেকে কৃষিপণ্য ক্রয় করে তারা বার বার তাগিদ দিচ্ছে যে, তোমাদের গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিসেস নীতিমালা করতে হবে, না হলে তোমাদের এখান থেকে পণ্য নেব না।
“বিভিন্ন ধরনের আইটেম আমরা যখন বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করি তখন উত্তম কৃষি চর্চা নিয়ে কথাবার্তা হয়। চিংড়ি পরীক্ষার একটা ইনস্টিটিউট সাভারে আছে, যারা চিংড়ি উৎপাদন করে তাদের ঘের থেকে স্যাম্পল পাঠায়, টেস্ট করে ওকে করলে সেটাই শুধু বাইরে এক্সপোর্ট করা যায়।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “শুধু বাইরে নয়, দেশের ভেতরেও যেগুলো সাপ্লাই দেওয়া হবে সেগুলো এই নীতিমালার অধীনে মান ঠিক করে নিতে হবে, ভেরিফাই করে নিতে হবে। এটার জন্যই গ্যাপ নীতিমালা হয়েছে।”
এই নীতিমালার উদ্দেশ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন ফসলের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত, পরিবেশ সহনীয় ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ সাধন করা।
পৃথিবীর সব দেশেই খাদ্য সংরক্ষণে অক্সাইড ব্যবহার করা হয় জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, “নির্ধারিত মাত্রায় এটা ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে যারা উৎপাদন ও সরবরাহকারী বিভিন্ন রকমের পাউডার ব্যবহার করতে হয়। স্বাস্থ্যহানি যাতে না হয় সেই মাত্রায় এটা ব্যবহার করতে হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্য শৃঙ্খলের সব স্তরে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা করাও এই নীতিমালার অন্যতম উদ্দেশ্য।
“বীজ উৎপাদনে আমরা যাতে আরও উন্নতি করতে পারি সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। মোট বীজের চাহিদার ২৩-২৪ শতাংশ আমরা উৎপাদন করি। বাকিটা বাইরে থেকে আনতে হয়। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।”
আর্সেনিক কতটুকু পর্যন্ত থাকলে গ্রহণ করা যাবে তা অ্যাগ্রিকালচাল গুড প্র্যাকটিসের মধ্যে চলে আসবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এই নীতিমালা যদি পুরোপুরি বস্তবায়ন করা যায়, তাহলে আমাদের বেড প্রিপারেশন (বীজ তলা তৈরি) থেকে শুরু করে মার্কেটিং ও ভোগ পর্যন্ত মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করা যাবে।”