ক্যাটাগরি

এবার ‘ডি জে পার্টিতে’ পুলিশের নিষেধাজ্ঞা

ডিএমপি কমিশনার মোহা.
শফিকুল ইসলাম সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম
ও কোনো পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডি জে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া
দেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়
অনুষ্ঠান করা যাবে।

“তবে কোনো ক্রমেই ডি
জে পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের
সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোনো শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না।”

ওই দিন সন্ধ্যা থেকে
ঢাকার বারগুলো বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি
মেনে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুডের দোকানসহ মার্কেট
বন্ধ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন,
“মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠানসমূহ সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।
প্রচুর সংখ্যক লোক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে লন্ডনে গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। তাই
বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল প্রকার অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।”

তিনি বলেন, খ্রিস্টান
সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে চার্চগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি খ্রিষ্টান
অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট
নাইট উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, চার্চগুলোতে
ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি চার্চে
আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি
করা হবে।

অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড
দিয়ে ‘সুইপিং’ করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা।
থাকবে চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান
বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে
চার্চে আসা যাবে না।

এছাড়াও প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের
প্রবেশ পথে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল
স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল
বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত
ব্যক্তিবর্গসহ সব ভক্ত দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

সব ক্ষেত্রেই সামাজিক
দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ অসুস্থ্, বয়স্ক ও শিশু দর্শনার্থীদের অনুষ্ঠানে আসতে নিরুৎসাহিত
করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তারা ছাড়াও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার
কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।