সোমবার
এক বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ
আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক
সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক মোবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের
প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক
বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) এর সাধারণ
সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক ও বাম গণতান্ত্রিক
জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর
করেন।
বিবৃতিতে
বলা হয়, “২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করা এবং সেই ভোটকে বৈধতা প্রদান করার
মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন
কমিশন তার সকল ধরনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা হারিয়েছে।
“এ
নির্বাচন কমিশন শুধু তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি। তারা নানা
রকম অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে, যা ইতোমধ্যে
সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
“প্রধান
নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা বক্তৃতা না দিয়ে বক্তা হিসেবে দুই কোটি টাকা
আত্মসাৎ করেছেন, যা গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি। একজন নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন
কমিশনারের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারের
ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।”
বর্তমান
নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘নৈতিক অধিকার রাখে না’ বলেও বাম জোটের নেতারা
মন্তব্য করেছেন।
তাদের
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই কমিশন নৈতিকভাবে স্খলিত। এরা ইতোমধ্যে অবাধ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু
নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এরা ক্ষমতাসীনদের হয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন
আয়োজন করেছে। এই নির্বাচন কমিশনের আর কোনো নির্বাচন পরিচালনার বৈধ নৈতিক কর্তৃত্ব অবশিষ্ট
নাই।”