ক্যাটাগরি

বিজেপি এমপি’র স্ত্রী তৃণমূলে, অতঃপর বিয়ে বিচ্ছেদের নোটিস

স্ত্রীর কাণ্ডে হতবাক সৌমিত্র কয়েকঘণ্টা পরই জানান, তিনি সুজাতাকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন, সুজাতা যেন নিজের নামের শেষে আর তার পদবী ব্যবহার না করেন।

পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই দলবদলের এই নাটক চলছে। গত শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ‘হেভিওয়েট’ নেতা শুভেন্দু অধিকারী দলের আরও কয়েকজন নেতাকে নিয়ে বিজেপি’তে যোগ দেন।

তার ‍দুইদিন পর সোমবার সকালে সুজাতা সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেন, ‘‘গেরুয়া শিবিরে এখন বিশ্বাসভাজনদের তুলনায় অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ নেতারা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন।

“আমার স্বামীকে লোকসভা নির্বাচনে জেতাতে আমি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি….এমনকি আমার উপর শারীরিক হামলাও হয়েছে…তার বদলে কী পেয়েছি, কিচ্ছু না। আমি এখন আমাদের প্রিয় নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করতে চাই।”

সুজাতা মণ্ডল খাঁন যখন বিজেপির হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন

সুজাতা মণ্ডল খাঁন যখন বিজেপির হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন

তার এই সিদ্ধান্ত তার স্বামীর রাজনৈতিক জীবনে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুজাতা বলেন, ‘‘তিনি কী করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তার সিদ্ধান্ত।

“আশা করি তিনি একদিন সব বুঝতে পারবেন….কে জানে হয়ত তিনিও একদিন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসবেন।”

‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, সুজাতার ওই সংবাদ সম্মেলনের পর তাড়াহুড়ো করে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিষ্ণুপুরের এমপি ও বেঙ্গল যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খান।

সেখানেই সৌমিত্র ১০ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন। বলেন, তিনি ‘সুজাতাকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন’।

 

“তোমাকে এমন কিছু লোক ব্যবহার করছে যারা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফাটল ধরাতেও দ্বিধা করেনি। হ্যাঁ, তুমিই বিষ্ণুপুর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় আমার স্তম্ভ ছিলে।”

“যা হোক, ভুলে যেও না আমি সেখানে ছয় লাখ ৫৮ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছি। আমার দল এবং ওই এলাকায় আমার সুনামের কারণেই এত বড় ব্যবধানে জয় সম্ভব হয়েছে।”

গেরুয়া শিবিরে থাকার কারণেই তার স্ত্রী রাজনীতিতে এতদূর আসতে পেয়েছে দাবি করে সৌমিত্র আরও বলেন, ‘‘তুমি জয় শ্রী রাম এবং মোদীজির পক্ষে স্লোগান দিয়েই এতদূর এসেছো।

“দয়া করে এরপর নামের শেষে খান পদবী জুড়বে না। দয়া করে কখনও বলবে না তুমি সৌমিত্র খাঁনের স্ত্রী। আমি তোমাকে তোমার নিজের রাজনৈতিক জীবন গড়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছি। তবে মনে রেখো, তুমি তাদের পক্ষ নিয়েছ, যারা ২০১৯ সালে তোমার সঙ্গীর উপর হামলা চালিয়েছিল।”