সোমবার বগুড়া প্রেস
ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বগুড়ার ফল ব্যাবসায়ী মুনসুর আলম।
সংবাদ সম্মেলনে মুনছুর
আলম অভিযোগ করেন, রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট মার্কেটের পরিচালনা কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে
ঠিকাদার আব্দুল মান্নান আকন্দকে ১২টি দোকানের জন্য ৫৮ লাখ টাকা প্রদান করেন
এবং দোকান বুঝে নেন।
“গত ৮ ডিসেম্বর উক্ত
আব্দুল মান্নান ও তার লোকজন ওই দোকানগুলো ভাংচুর করে দখল করতে এলে পুলিশের সহায়তায়
প্রতিরোধ করা হয়।”
মুনছুর আলম বলেন, পরে
২০ ডিসেম্বর আব্দুল মান্নান ও তার লোকজন দোকানে এসে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে
আঘাত করে এবং দোকানের প্রায় দুই লাখ টাকার ফল ফেলে দেয়।
“উপর্যুপরি আঘাতে আমার
মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন
এগিয়ে এলে চলে যাওয়ার সময় আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।”
এই ঘটনায় বগুড়া সদর
থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে
আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, মার্কেট তৈরির সময় উচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছে, যারা আগে
সেখানে ছিল তাদের পূনর্বাসন করতে হবে। সেই কারণে ওই জায়গায় আগে যিনি ছিলেন তাকে দেওয়ার
জন্য সব ঠিক ঠাক ছিল। কিন্তু তিনি রেল থেকে গোপনে ওই জায়গা লিজ নিয়ে এসেছেন। তাই তাকে
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ওটা দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়।
“তিনি ওই জায়গা দখলের
জন্য ভাংচুর ও হত্যার হুমকির নাটক সাজিয়েছেন।”
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আব্দুল মান্নান আকন্দের বিরুদ্ধে মুনসুর আলম একটি
অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।