সম্প্রতি জাতীয় পত্রিকা ‘ওয়েলস অনলাইন’ ৩৫ সফল তরুণ উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করে। তাদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সপ্তম স্থানে রয়েছে হারুনের নাম।
হারুন দানিসের জন্ম লন্ডনে। কিন্তু বেড়ে ওঠা ও স্কুল-কলেজ শেষ করেছেন ওয়েলসে এবং বর্তমানে বাস করছেন ম্যানচেস্টারে। মানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তির এক বছর পার করার পর গ্যাপ ইয়ার নিয়ে এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যবসার প্রসার এমনই দ্রুত হতে থাকে তার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে হয়নি।
দশ বছর আগে হারুন ম্যানচেস্টারে শুরু করেন নন সার্জিক্যাল স্কিন ক্লিনিক ‘স্কিন এইচ কিউ’। প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করলেও এখন যুক্তরাজ্যে এর শাখা রয়েছে পাঁচটি। বর্তমানে এ কোম্পানিতে কাজ করেন ৫০ জন।
হারুনের লেখা ‘ফ্রাঞ্চাইজিং ফ্রিডম’ বইটির প্রচ্ছদ
হারুন জানান, আগামী এক বছরে যুক্তরাজ্যের আরও পাঁচটি সিটিতে শাখা খুলতে কাজ করছেন তিনি যেখানে আরও দেড়শ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া তিনি ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চান ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। ফ্রাঞ্চাইজের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।
স্কিন কেয়ার ব্যবসায় তার আগ্রহ সম্পর্কে হারুন দানিস বলেন, “আমাদের পরিবার ব্যবসায়িক পরিবার। পঞ্চাশের দশকে আমার দাদা সিলেটের জগন্নাথপুর থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান তার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য। যদিও তার আসার উপায়টা ছিল বেশ কষ্টসাধ্য। প্রথমে সৌদিতে হজ ট্রিপ, পরবর্তীতে সিরিয়া ও বাগদাদে অবস্থান ও কাজ করা এবং পরিশেষে ব্রিটেনে আসা।
“প্রাথমিক পর্যায়ে দাদা টেক্সটাইলে কাজ করে পরবর্তীতে নিজেই কাপড়ের ফ্যাক্টরি চালু করেন। তিনি রেস্টুরেন্টের ব্যবসাও করেছেন। ব্যবসায় ঝুঁকি নিতে হয় এটি ছিল আমার দাদার জানা। সেখানে আমিও তার সঙ্গে অল্প বয়সে জড়িত হয়ে যাই। পরবর্তীতে তা থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবনের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়। তখনই স্কিন কেয়ার ইন্ড্রাস্ট্রির দিকে ধাবিত হই।”
হারুন জানান, বিশ্বে বর্তমানে বিউটি ইন্ড্রাস্ট্রি খাতে ৫৩২ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। আর নানা পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায় শুধু স্কিন কেয়ার খাতে বিশ্ববাজার ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সম্প্রতি ‘ফ্রাঞ্চাইজিং ফ্রিডম’ নামে একটি বইও লিখেছেন হারুন দানিস।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |