ক্যাটাগরি

গ্যাটকো দুর্নীতি: অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ২৬ জানুয়ারি

মঙ্গলবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে
খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এদিন আদালেত যাননি; মূল বিচারকও ছিলেন না।

সে কারণে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক
নজরুল ইসলাম শুনানি পিছিয়ে ২৬ জানুয়ারি নতুন তারিখ রেখেছেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে সময়ের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া।
আদালত তা মঞ্জুর করেছে। 

দুদকের
উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা
দায়ের করেন।

তদন্ত
শেষে ২০০৮ সালের ১৩ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা।
চার দলীয় জোট সরকারের নয় মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনকে সেখানে আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে
বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর
আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪
কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

আসামিদের
মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আকবর হোসেন,
আব্দুল মান্নান ভুইয়া এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন।

আর
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
করা হয়েছে। 

মামলার
অপর আসামিরা হলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক
চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, আকবর হোসেনর স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে
ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার
হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন
আহমেদ, গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব,
প্রাক্তন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম
মোশাররফ হোসেন।

দুর্নীতির
দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইতোমধ্যে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ড
হয়েছে।

পরিবারের আবেদনে সরকার গত ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে
ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে আরও ছয় মাসের জন্য তা বাড়ানো
হয়।

তখন থেকে গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত
চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ বছর বয়সী খালেদা।