বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে গতবারের রানার্সআপ রহমতগঞ্জকে ৩-০ গোলে হারায় শিরোপাধারী বসুন্ধরা কিংস।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৫ মার্চে স্থগিত হয়ে যায় ২০১৯-২০ মৌসুমের লিগ। এরপর মৌসুমই বাতিল করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। লম্বা বিরতি শেষে এ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরল ঘরোয়া ফুটবলের ছেলেদের আসর। ম্যাচের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম জীবাণুমুক্ত করা হয়। গ্যালারিতেও ছিল সীমিত সংখ্যক দর্শক।
১৭ সপ্তাহের অনুশীলন সেরে মাঠে নামা বসুন্ধরা কিংসের খেলায় শুরু থেকে ছিল আধিপত্যের ছাপ। দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল দলটি। রিমন হোসেনের ক্রস গোলরক্ষক পুরোপুরি গ্লাভসে নিতে পারেননি। বল পড়ে সামনে থাকা অস্কারের পায়ে। একটু লাফিয়ে ওঠা বলে আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত চিলির এই ফরোয়ার্ডের দুর্বল ভলি খুঁজে পায়নি জাল।
বসুন্ধরা কিংসের সামনে একাদশ মিনিটে আবারও এসেছিল সুযোগ। কিন্তু রবসন দি সিলভা রবিনিয়োর ক্রসে খুব কাছাকাছি থেকে অস্কারের হেড ফিস্ট করে ফেরান রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন।
একটু গুছিয়ে ওঠা রহমতগঞ্জ সুযোগ পায় ৩২তম মিনিটে। সানোয়ার হোসেনের আড়াআড়ি শট ফেরান গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
৪৩তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরোয় বসুন্ধরা কিংসের। ডান দিক থেকে ব্রাজিলিয়ান জোনাথন দি সিলভেইরা ফের্নান্দেসের ফ্রি কিকে লাফিয়ে হেডে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন অস্কার।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে রাউলের চিপ ধরে লিটনকে একা পেয়েছিলেন ফের্নান্দেস, কিন্তু গোলরক্ষকের গায়ে মেরে সুবর্ণ সুযোগ হারান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
তিন মিনিট পর মাহমুদুল হাসান কিরণের হাস্যকর ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় বসুন্ধরা কিংস। রহমতগঞ্জের এই ডিফেন্ডার পাস বাড়াতে গিয়ে বল তুলে দেন রবিনিয়োর পায়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৬০তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন রবিনিয়ো। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের শট কাছের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
চার মিনিট পর আত্মঘাতী গোলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে রহমতগঞ্জ। বাইলাইন থেকে রবিনিয়োর ক্রসে ইমন বাবুর চিপ গোলরক্ষক লিটনের হাতে লাগার পর মিশরের ডিফেন্ডার আলাদিন নাসের হেডে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন।
৭১তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কাছের পোস্টে শট নিয়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন বদলি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল।