মৃত নাসরিন আক্তারের
স্বামী এস এ আলম সবুজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা আকারে এই লিখিত
অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে গণস্বাস্থ্য নগর
হাসপাতালকে ১ নম্বরে রেখে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি
বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন ও সেবিকা শংকরী রানী সরকারকে আসামি হিসেবে গণ্য করার আবেদন
করা হয়েছে।
আদালতের সহকারী পাবলিক
প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে
তদন্ত করে আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আবেদনে বলা
হয়, এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে
ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা ‘সেবা পাননি’।
নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনাকালে স্বামী সবুজ বার বার শংকরী রাণীকে জানালেও তিনি ‘গুরুত্ব
দেননি’। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন।
তখন শংকরী রাণী ইন্টার্ন চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দুজন এসে জানান, সব
কিছু ‘ঠিক আছে’।
এরপর শংকরী রাণী ডা.
দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার
আসেনি। নাসরিন আক্তার স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেনি।
শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই জোর করে তার বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত
রক্তক্ষরণের এক পর্যায়ে তিনি একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করার কিছুক্ষণ পর মারা যান।
“রোগীর মৃত্যুর পেছনে
তাদের কিছু অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির
আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদীপক্ষকে পাত্তা দেয় না। আসামিরা বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি
হবে না, পারলে মামলা করেন।”
এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর
বাদী ধানমন্ডি থানায় মামলা করতে গেলে সেখান থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আইনজীবী আজাদ রহমান
জানান, মৃতের বোন মাসাম্মৎ রোকেয়া ঢাকা বারের একজন আইনজীবী। তিনি নিজে ও অপর কয়েকজন
আইনজীবী আদালতে বাদীপক্ষে বক্তব্য রাখেন।